প্রবল শক্তিশালী টাইফুনের আঘাতে দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপাইনে ৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। এদিকে বিশুদ্ধ পানীয় জল ও খাবারের হাহাকার দেখা দিয়েছে দুর্যোগ আক্রান্ত এলাকাগুলোতে। আশ্রয়ের জন্য ছুটতে থাকা মানুষকে সহায়তার চেষ্টা করছে দেশটির সরকার।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, টাইফুন থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে উপকূলীয় এলাকা থেকে ৩ লাখের বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে অনেক জায়গায় যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে বহু এলাকা। টাইফুনের প্রভাবে অনেক গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে।
ফিলিপাইনের বহল অঞ্চলের গভর্নর আরথার ইয়াপ জানিয়েছেন, তার এলাকার শহরগুলোর মেয়ররা ৪৯ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এতে করে টাইফুনের আঘাতে নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫ জনে।
মিলিটারি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের হাজার হাজার কর্মীকে উদ্ধার তৎপরতায় শামিল করেছে ফিলিপাইন প্রশাসন। রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি সরাতে ভারী যন্ত্রপাতি পাঠানো হয়েছে।
দেশটির জরুরি বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো সাহায্যের জন্য সবার কাছে আবেদন জানিয়েছে।
ফিলিপাইনের নৌবাহিনীর জাহাজও প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ত্রাণ নিয়ে বহল অঞ্চলের দিকে রওনা দিয়েছে।
হাজার হাজার বিশুদ্ধ পানির বোতল দ্বীপবাসীকে পাঠানো হয়েছে। কারণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে তাদের শহরের পানি শোধনাগার বন্ধ হয়ে গেছে।
সুপার টাইফুন রাই যখন ফিলিপাইনে আঘাত করে মূলত সিয়ারগাও, দিনাগাত ও মিন্দানাওতে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়েছিল, গত বৃহস্পতিবার সিয়ারগাও দ্বীপে আছড়ে পড়া রাই একটি ‘সুপার টাইফুন’। দ্বীপটিতে টাইফুন আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার (১২০ মাইল)।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ুগত দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর একটি হলো ফিলিপাইন। প্রতি বছর গড়ে ২০টি টাইফুন দেশটির বিভিন্ন অংশে আঘাত হেনে থাকে। গত বছরও টাইফুন ভ্যামেকার আঘাতে দেশটিতে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে।