আমেরিকার কানেক্টিকাটে আট বছর বয়সী একটি বোস্টন টেরিয়ার জাতের কুকুর এখন সত্যিকারের নায়ক। কারণ তার বিচক্ষণতায় বেঁচে গেছে ৯ মাস বয়সী এক শিশু।
জরুরি মুহূর্তে কুকুরটির এমন বিচক্ষণতার বর্ণনা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন শিশুটির বাবা-মা জেফ ও কেলি ডোলিং। সেই পোস্ট এখন ভাইরাল হয়ে গেছে। কুকুরটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন নেটিজেনরা।
শনিবার গুডমর্নিং আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার রাতে জেফ ও কেলির ৯ মাস বয়সী কন্যা তার জন্য নির্ধারিত একটি ছোট শয্যায় ঘুমাচ্ছিল। কিন্তু রাতের একটা সময় অদ্ভুত আচরণ শুরু করে তাদের পোষা কুকুর হেনরি। বারবারই সে শিশুটির শয্যার কাছে চলে যাচ্ছিল আর শিশুটিকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছিল।
শিশুটির মা কেলি জানান, কুকুরটি নিজে থেকেই দরজা খুলে শিশুটির কাছে গিয়ে হাজির হয়।
কিন্তু কুকুরটির এমন অস্বাভাবিক আচরণকে প্রথমে পাত্তা দিতে চাননি কেলি। তিনি বারবারই কুকুরটিকে শান্ত হয়ে নিজের স্থানে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছিলেন। কিন্তু কোনোভাবেই কন্যার কাছ থেকে কুকুরটিকে সরাতে পারছিলেন না।
পরে ডোলিং দম্পতি কাছে গিয়ে দেখেন তাদের কন্যার শরীর নীল হয়ে গেছে। সর্দি-জ্বরে ভুগছিল শিশুটি। আর সেই মুহূর্তটিতে তার শ্বাস-প্রশ্বাস প্রায় থেমে গিয়েছিল। অক্সিজেনের অভাবেই শরীর নীল বর্ণ ধারণ করে।
এ অবস্থায় ডোলিং দম্পতি দ্রুততার সঙ্গে তাদের কন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা শিশুটির শ্বাসযন্ত্র পরিষ্কার করে দিলে জীবন ফিরে পায় সে।
সেই রাতে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকেই বেঁচে গিয়েছিল শিশুটি। কন্যার জীবন বাঁচানোর কারণে এখন হেনরি নামে কুকুরটির প্রতি ভালোবাসা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে ডোলিং দম্পতির। শুধু তা-ই নয়, সেদিন অবশিষ্ট রাতটুকু কুকুরটিকে নিজের বিছানায় ঘুমাতে দেন শিশুটির বাবা জেফ ডোলিং।
মা কেলি জানান, তাদের পোষা কুকুরটি আর দশটা কুকুরের মতোই স্বাভাবিক প্রকৃতির। অতীতে তার এমন নায়কোচিত কাজের কোনো রেকর্ডও ছিল না।