বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর উপহাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু কর্নারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত বাণী ওই অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সকালের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের বিজয় দিবস উদযাপনের দ্বিতীয় পর্যায়ে বিকেলে নতুন প্রজন্মসহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে একটি বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয় । শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক একটি প্রামাণ্য তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ । এ মৈত্রী সহজে কেউ নষ্ট করতে পারবে না।'
বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে।'
এদিনের আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট সাংবাদিক দিলীপ চক্রবর্তী ও অধ্যাপক শফি আহমেদ। শিল্পী অনুপম রায় ও বিশিষ্ট শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনায় বিজয় দিবসের সন্ধ্যা মনোজ্ঞ হয়ে ওঠে।