সান্তাক্লজের বেশে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করছে জার্মান পুলিশ- এমন একটি ভিডিও ফুটেজ বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়েছে। বলা হয়েছে, পরিচয় গোপন করার কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সান্তাক্লজকে গ্রেপ্তারের ওই ভিডিওটি ‘ডিসক্লোজ টিভি’ নামে একটি চ্যানেল তাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে গত মঙ্গলবার পোস্ট করে। পরে মুহূর্তেই এটি ভাইরাল হয়ে যায়। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ওই ভিডিওর ভিউ ১০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ভিডিওটি শেয়ারের সংখ্যাও আট হাজার পেরিয়ে গেছে।
সান্তাক্লজ খ্রিস্টান ধর্মের একটি সম্মানজনক চরিত্র হওয়ায় ঘটনাটি অনেকের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত হানে। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার সত্যাসত্য নিয়ে অনেকেই নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন।
ঘটনার সত্যাসত্য যাচাই করতে গিয়ে আমেরিকান গণমাধ্যম নিউজউইক জানতে পারে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় ওই ঘটনাটি সত্যিই জার্মানির স্ট্রসল্যান্ড শহরের ওল্ড মার্কেট স্কোয়ারে ঘটেছে।
পরে ওই শহরের পুলিশের মুখপাত্র নিউজউইককে জানান, সেদিন অন্তত ৬৫ জন বিভিন্ন পোস্টার এবং মোমবাতি হাতে নিয়ে স্ট্রসল্যান্ডের ওল্ড মার্কেট স্কোয়ারে বিক্ষোভ করছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী আগে নিবন্ধন না করেই তারা সেখানে অবস্থান নেন এবং করোনার বিধি-নিষেধ ও টিকার বাধ্যবাধকতার বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করেন।
এ অবস্থায় শহরের পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং ধরপাকড় শুরু করে। কিন্তু ওই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সান্তাক্লজের বেশেও এক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
জার্মানির স্ট্রসল্যান্ড শহরের ওল্ড মার্কেট স্কোয়ারে সান্তাক্লজকে আটকের মুহূর্ত। (ছবিটি ভিডিও থেকে নেয়া)
পুলিশের মুখপাত্র বলেন, ‘সেই সান্তাক্লজকে দেখে পুলিশও বিস্মিত হয়- কারণ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তিনিও একটি পোস্টার বহন করছিলেন। ৪৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বিক্ষোভটির নেতৃত্বের আসনেই ছিলেন। গায়ে সান্তাক্লজের পোশাক চাপালেও স্থানীয় ক্রিসমাস মার্কেটের সঙ্গে তার কোনো যোগসূত্র নেই।’
পুলিশ আরও জানায়, প্রাথমিক অবস্থায় সেই সান্তাক্লজ পুলিশকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে অস্বীকার করায় তাকে টহল গাড়িতে নিয়ে তোলা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। তবে অতীত রেকর্ডে খারাপ কিছু না পাওয়ায় সেদিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টার সময়ই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।