১৮৬১ সালে একীভূত হয় ইতালি। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত গত বছরটিতে দেশটির জন্মহার ছিল সবচেয়ে কম।
ইতালির জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের বরাতে মঙ্গলবার এই খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
পরিসংখ্যান বলছে, টানা ১২ বছর ধরে দেশটিতে ক্রমাগত জন্মহার কমা অব্যাহত আছে।
২০২০ সালে ইতালিতে ৪ লাখ ৪ হাজার ৮৯২ শিশুর জন্ম হয়েছে। এই হিসেবে আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে ১৫ হাজার ১৯২ শিশু কম জন্মেছে।
এদিকে, ২০২০ সালে দেশটিতে মারা গেছেন ৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৪৬ জন। জন্মের চেয়ে মৃত্যু বেশি হওয়ায় দেশটির জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৯৩ লাখে।
গত জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে, দেশটির লোকসংখ্যা কমার প্রবণতা চলতি বছরও অব্যাহত আছে। শুধু তাই নয়, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার অন্তত সাড়ে ১২ হাজার জন্ম কম হয়েছে।
দেশটির পরিসংখ্যান অফিস বলছে, ক্রমাগত জনসংখ্যা কমার ক্ষেত্রে করোনা মহামারি এবার একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।
এক হিসেবে দেখা গেছে, ২০২০ সালে ইতালিতে বসবাস করছেন এমন মা প্রতি শিশুর গড় সংখ্যা ১.২৪-এ নেমে এসেছে। এ ছাড়া ইতালিয়ান মায়েদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা আরও কমে হয়েছে ১.১৭। এই হিসেবে বিশ্বে বর্তমানে ইতালিয়ান মায়েদেরই শিশু জন্ম দেয়ার হারই সবচেয়ে কম।
এদিকে আরেকটি জরিপে দেখা গেছে, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল ভেদে ইতালিয়ান মায়েদের সন্তান জন্ম দেয়ার হারে তারতম্য রয়েছে। অস্ট্রিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন ইতালির উত্তরের অপেক্ষাকৃত ধনী অঞ্চলে মা প্রতি সন্তান জন্ম দেয়ার হার প্রায় ১.৭১। আর গরীব অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলের সার্দিনিয়া দ্বীপের মায়েদের সন্তান জন্ম দেয়ার হার দেখা গেছে মাত্র ০.৯৭।
২০২০ সালে ইতালিয়ান মায়েদের প্রথম সন্তান জন্ম দেয়ার গড় বয়স বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২.৭ বছরে। আর একই বছরে ৩৫.৮ শতাংশ শিশুর জন্ম হয়েছে কোনো বিয়ের সম্পর্ক ছাড়াই। ২০০৮ সালে বিয়ে বহির্ভূত সন্তান ছিল প্রায় ১৯.৬ শতাংশ। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে দেশটিতে ক্যাথলিক চার্চের প্রভাব ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে আসছে।