বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেমিককে বিয়ের জন্য ধর্ষণের গল্প

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:১০

সব মিলিয়ে এক হাজার পুলিশ সদস্য এই মামলার তদন্তের কাজে অংশ নেন। একপর্যায়ে বেরিয়ে আসে ব্যাপারটা আসলে ‘বানানো গল্প’। প্রেমিককে বিয়ে করতে এমন ধর্ষণের গল্প সাজানোর কথা স্বীকার করলেও, ঠিক কী কারণে এমনটি করেছেন এবং তার পরিকল্পনাই বা কী ছিল তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি ওই তরুণী।

প্রেমিককে বিয়ের জন্য অবিশ্বাস্য ব্যাপার ঘটিয়েছেন এক তরুণী। রীতিমতো তিনি ধর্ষণের নাটক সাজান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুরে সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি

পুলিশ বলছে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই তরুণী। তিনি জানান, এদিন সকালে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরপর দিনভর অভিযোগ তদন্তে ব্যস্ত সময় পার হয় পুলিশের।

সব মিলিয়ে এক হাজার পুলিশ সদস্য এই মামলার তদন্তের কাজে অংশ নেন। একপর্যায়ে বেরিয়ে আসে ব্যাপারটা আসলে ‘বানানো গল্প’।

প্রেমিককে বিয়ে করতে এমন ধর্ষণের গল্প সাজানোর কথা স্বীকার করলেও, ঠিক কী কারণে এমনটি করেছেন এবং তার পরিকল্পনাই বা কী ছিল তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি ওই তরুণী।

এনডিটিভি জানায়, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই নাগপুর পুলিশের কমিশনার অমিতোষ কুমারসহ অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেন। আড়াই শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। একে একে বের হতে থাকে রহস্য।

পুলিশের কাছে করা অভিযোগে ওই তরুণী বলেন, ‘সকালে আমি গানের ক্লাসে যাচ্ছিলাম। এমন সময় সাদা রঙের একটি ভ্যানে দুজন লোক আমার গন্তব্য জানতে চান।

‘একপর্যায়ে তারা আমাকে ধরে ভ্যানে উঠিয়ে কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলেন। এরপরই নাগপুরের চিখালি এলাকায় নির্জন একটি স্থানে আমাকে নিয়ে ধর্ষণ করেন তারা।’

অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় এনে তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ নথিবদ্ধ করা হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশ কমিশনার অমিতোষ কুমারের নির্দেশে এক হাজার পুলিশ সদস্য নিয়ে ৪০টি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ শুরু হয়। ওই নারীর বন্ধুদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তিনি জানান, ছয় ঘণ্টা ধরে দৌড়ঝাঁপ ও অর্ধশতাধিক মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে ওই তরুণী ‘গল্প সাজিয়েছেন’। আসলে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই তরুণী যেদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন, সেদিন নাগপুরের ভ্যারাইটি স্কয়ার এলাকা থেকে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে একটি বাসে ওঠেন তিনি। তাকে ১০টায় দেখা যায় জনসি রানি স্কয়ারে। ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি অটোরিকশায় ছিলেন আনন্দ টকিজ স্কয়ারে।

এরপর তিন চাকার একটি যানবাহন থেকে নেমে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে তাকে মাইয়ো হাসপাতালে ঢুকতে দেখা যায়। পরে ১০টা ৫৪ মিনিটে অটোরিকশায় চিখালি চত্বরে নামেন তিনি।

পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, একটি পেট্রোল পাম্পের সিসিটিভিতে ওই তরুণীকে বেলা ১১টা ৪ মিনিটে কালামনা পুলিশ স্টেশনে ঢুকতে দেখা যায়। সেখানে ঢুকেই এদিন সকালে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ আনেন তিনি।

সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ধর্ষণের অভিযোগকে ‘সাজানো গল্প’ বলে স্বীকার করে ওই তরুণী জানান, প্রেমিককে বিয়ে করতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু বলেননি তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর