সহকর্মী ও একজন ক্লায়েন্টের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা নারী কর্মীকে উল্টো চাকরিচ্যুত করল চীনা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিবাবা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, অব্যাহতিপত্রে বলা হয়েছে, ওই নারী মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন, যা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।
গত আগস্টে ওই নারী তার অভিযোগটি জনসমক্ষে নিয়ে আসেন। কারণ তিনি দাবি করেন, আলিবাবা তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।
পরবর্তী সময়ে তার অভিযুক্ত সহকর্মীকেও চাকরিচ্যুত করা হয়। যদিও তার বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়।
অভিযুক্ত ক্লায়েন্ট এখনো পুলিশি তদন্তের মধ্যেই আছেন।
আলিবাবার পক্ষ থেকে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হয় যে প্রতিষ্ঠানটি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মর্মে যে অভিযোগ তিনি করেছেন, তা মিথ্যা এবং প্রতিষ্ঠানটির সুনামের জন্য এ ধরনের অভিযোগ ক্ষতিকর।
যৌন হয়রানির শিকার নারীর আইনজীবীই নিউ ইয়র্ক টাইমসকে চাকরিচ্যুতির এই ঘটনা নিশ্চিত করেন।
যৌন হয়রানির সেই অভিযোগে যা ছিল
নির্যাতনের শিকার ওই নারী অভিযোগ করেন, তিনি অতিরিক্ত মদ্যপান করায় অচেতন ছিলেন। সেই সুযোগে তার সহকর্মী তাকে হোটেল কক্ষেই নির্যাতন করেন।
এই ঘটনাটি ঘটে যখন একজন ক্লায়েন্টের সঙ্গে দেখা করতে তিনি তার সহকর্মীকে নিয়ে চীনের জিনান শহরে ব্যবসায়িক ভ্রমণে ছিলেন। তার সহকর্মী ছিলেন আলিবাবার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
মদ্যপানের ফলে তিনি যখন অচেতন হয়ে পড়েন, শুধু মনে করতে পারেন যে ক্লায়েন্ট তার সংস্পর্শে এসেছিলেন। সচেতন হওয়ার পর তিনি নিজেকে পোশাকবিহীন অবস্থায় হোটেল কক্ষে আবিষ্কার করেন।
পরবর্তী সময়ে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আলিবাবার সেই উচ্চপদস্থ সহকর্মী সেদিন তার কক্ষে চারবার প্রবেশ করে।
পরবর্তী সময়ে নির্যাতনের শিকার সেই নারী আলিবাবার মানব সম্পদ বিভাগে বিষয়টি জানায়। মানব সম্পদ বিভাগ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা কোনো পদক্ষপ নেয়নি।
আলিবাবার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এমনকি যেই দুজন কর্মকর্তা এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তারাও স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়েছেন।