করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভারতের কলকাতা বিমানবন্দরে।
শুক্রবার ভোরে বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য থেকে আসা এক তরুণীর শরীরে করোনা শনাক্ত হলে তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না তা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়।
এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের নতুন নির্দেশনা মেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সঙ্গে জারি করা হয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা ।
রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, 'যুক্তরাজ্য থেকে আসা এক তরুণী কভিড পজিটিভ। আক্রান্তের লালারস জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওই তরুণীকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। পরে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই কোয়ারেন্টিনে আছেন। রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।'
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য ফেরত ওই তরুণী করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না তা জানতে তার লালারস প্রথমে আরএনএ পরীক্ষার জন্য ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হবে। তারপর তার জিনসজ্জা বা জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার জন্য সেই প্রতিবেদন কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জেনোমিকসে পাঠানো হবে। তিনি ওমিক্রন আক্রান্ত কি না তা জানতে সময় লাগবে এক সপ্তাহ।
যুক্তরাজ্যফেরত তরুণীর চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কৌশিক চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়েছে। যারা আগামী সাত দিন ওই তরুণীকে পর্যবেক্ষণে রাখবেন।
এদিকে ওমিক্রন মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের মতো বেলেঘাটা আইডিতে ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার ওপর আরও বেশি জোর দেয়া হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যফেরত আলিপুরের ওই তরুণীর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে ওমিক্রন ধরা পড়লে তিনিই হবেন কলকাতার প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত। কর্ণাটকে দুজনের শরীরে প্রথম ওমিক্রনের অস্তিত্ব পাওয়ার মধ্য দিয়ে চলতি ডিসেম্বরেই ভারতে প্রথম করোনার এই নতুন ধরন শনাক্ত হয়।