নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে প্রতি চারজন ক্যান্সার রোগীর মধ্যে একজনের রোগটি হয় ধূমপানের কারণে। এমতাবস্থায় দেশটি ধূমপান নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটিতে ২০০৮ সালের পর জন্মগ্রহণকারী কেউ তামাকজাত পণ্য ক্রয় করতে পারবেন না। এ আইনটি ২০২২ সালে প্রণীত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. আয়েশা ভেরাল বলেছেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে আমাদের দেশের তরুণরা কেউই ধূমপান শুরু করবে না।
দেশের চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তামাকের ব্যবহার হ্রাস করতে নেয়া দেশটির নেতাদের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্যানেট হুক বলেন, ‘এ পদক্ষেপ ক্ষতিকারক পণ্য বর্জন করতে ও নিকোটিনে আসক্তের সংখ্যা কমাতে সহায়তা করবে।‘
ইতিমধ্যে ভিন্ন প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে।
অনেকেই সতর্ক করছেন, এর কারণে তামাকজাত পণ্যের বাজার কালোবাজারিদের হাতে চলে যেতে পারে।
এ পদক্ষেপ অন্তঃসারশূন্য। যার মধ্যে বাস্তবতার কোনো ছোঁয়া নেই। এমনটাই বলছেন নিউজিল্যান্ডের ডেইরি অ্যান্ড বিজনেস ওনার্স গ্রুপের সভাপতি ও স্থানীয় চেইনশপগুলোর মুখপাত্র সানি কৌশল। তার মতে, এর ফলে যে শূন্যস্থান তৈরি হবে, তা পেশাদার অপরাধীরাই পূরণ করবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও এ পদক্ষেপের ফলে তামাকের কালোবাজার তৈরি হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে। সীমান্তে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে কাস্টমসকে, এমনটাই মনে করেন তারা।
নিউজিল্যান্ড ২০২৫ সালের মধ্যে ধূমপানের হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ়সংকল্প নিয়েছে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ধূমপান সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা।
বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ১৩ শতাংশ ধূমপান করেন।