বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উইঘুর গণহত্যায় দায়ী চীন: ট্রাইব্যুনাল

  •    
  • ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:৪৮

ইস্তাম্বুলে বসবাসরত উইঘুর শরণার্থী নুর সিমান আব্দুর রশীদ। তিনি প্যানেলকে জানান, সামাজিক নির্দেশ অমান্য করায় ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে তার বাবাকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতে পারে, এই সন্দেহেই তার মাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের ওপর গণহত্যার জন্য চীন সরকারকে দায়ী করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি স্বাধীন ও বেসরকারি ট্রাইব্যুনাল।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, এ ছাড়াও ট্রাইব্যুনালটি মানবতাবিরোধী অপরাধ, জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত করেছে চীনকে।

উইঘুর ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রথিতযশা মানবাধিকার আইনজীবী স্যার জেফরি নাইস বলেছেন, উইঘুর মুসলিমদের জোরপূর্বক জন্মনিয়ন্ত্রণ ও সম্প্রদায়টির জনসংখ্যা কমিয়ে আনতে বন্ধ্যাকরণ প্রকল্প চালু করেছে চীন।

জেফরি আরও বলেন, চীন সরকারের উচ্চপর্যায়ের যোগসাজশ ছাড়া এত বড় ঘটনা ঘটানো সম্ভব নয়।

স্যার জেফরি নাইস সার্ব যুদ্ধাপরাধবিষয়ক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলেন।

লন্ডনভিত্তিক এই ট্রাইব্যুনালটির কোনো সরকারি সমর্থন নেই। চীনের ও র কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কিংবা অবরোধ দেয়ার মতো ক্ষমতা নেই।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিও)-এর চীনবিষয়ক প্রধান সোফি রিচার্ডসন বলেন, এই ট্রাইব্যুনাল বিশ্ববাসীকে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে সচেতন করবে।

উইঘুর শরণার্থী, আইনজীবী ও গবেষকসহ ৩০ জন এই ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন ইস্তাম্বুলে বসবাসরত উইঘুর শরণার্থী নুর সিমান আব্দুর রশীদ। তিনি প্যানেলকে জানান, সামাজিক নির্দেশ অমান্য করায় ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে তার বাবাকে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতে পারে, এই সন্দেহেই তার মাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিশ্চিত করেছে, তারা উইঘুর ইস্যুতে চীনকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে না। কারণ চীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য নয়।

চীন সরকার বরাবরই উইঘুর নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র উইঘুর নির্যাতনের জন্য চীন সরকারকে দায়ী করে আসছে। দেশটি দাবি করে, চীন সরকার ৩০০ থেকে ৪০০টি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে আটকে রেখেছে। এসব কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের মতো ঘটনাও ঘটে।

এ বিভাগের আরো খবর