বিদেশি কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া বেশ কঠোর। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স অরিজিনাল সিরিজ ‘স্কুইড গেম’ চীন থেকে উত্তর কোরিয়ায় পাচার করে নিয়ে আসা এবং বিক্রয়ের দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংবাদমাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, সীমান্তের বাইরে থেকে স্কুইড গেম পাচার করে নিয়ে আসার কারণে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে এ দণ্ড কার্যকর হবে।
এ ছাড়া ছয়জন স্কুলছাত্র যারা ইউএসবি ড্রাইভে করে সিরিজটি কিনেছিল, তাদেরও কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ বছরের বাধ্যতামূলক কঠোর শ্রমে পাঠানো হবে।
নিজেদের স্কুলে বসে দলবেঁধে সিরিজটি দেখার সময় ছাত্ররা ধরা পড়ে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় একটি নতুন আইন হয়েছে, যেখানে পুঁজিবাদী দেশের কনটেন্ট সংগ্রহ, বিতরণ, দেখার জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এই প্রথম উত্তর কোরীয় সরকার এই আইনের প্রয়োগ করতে যাচ্ছে।
শুধু কনটেন্ট পাচারকারী এবং ছাত্রদেরই নয়, স্কুলের শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাদেরও শাস্তিস্বরূপ খননকাজের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানো হবে।
নেটফ্লিক্সের স্কুইড গেম সিরিজটির কাহিনি দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু ঋণগ্রস্ত মানুষের ঘটনা নিয়ে আবর্তিত হয়েছে; যারা কি না অর্থের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখার খেলায় অংশগ্রহণ করে।
এ ধরনের সিরিজ দেখে উত্তর কোরিয়ার যেসব মানুষ অর্থ সংকট ও দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে, তারা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে উৎসাহিত হতে পারে- এমনটাই মনে করে উত্তর কোরীয় সরকার।
প্রায় ২০০ উত্তর কোরিয়ার নাগরিক, যারা দেশটি থেকে পালিয়ে চলে এসেছে তাদের ওপর একটি জরিপ চালিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। জরিপে দেখা যায়, দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ উত্তর কোরিয়ার নাগরিক জানান, তারা ভিনদেশি কনটেন্ট দেখেই দেশটি থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী হন।