বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেনে আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৯:৫০

৯৪ হাজার সৈন্য ইউক্রেন সীমান্তে জড়ো করেছে রাশিয়া। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে কিয়েভের পক্ষ থেকে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘাত শুরু হতে পারে।

ইউক্রেনে যেকোনো আগ্রাসনের বিষয়ে রাশিয়াকে আগাম সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র। এই ইস্যূতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনের বরাতে, মঙ্গলবার পুতিন ও বাইডেনের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক এমন সময় অনুষ্ঠিত হলো, যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েনের অভিযোগ করা হচ্ছে।

বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, বাইডেন প্রেসিডেন্ট পুতিনকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির ইউরোপীয় মিত্ররা উদ্বিগ্ন। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। রাশিয়ার সামরিক পন্থা বাদ দিয়ে কূটনৈতিক পন্থায় ফিরে আসা উচিত।

এই বছরে দ্বিতীয়বারের মতো ৯৪ হাজার সৈন্য ইউক্রেন সীমান্তে জড়ো করেছে রাশিয়া। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে কিয়েভের পক্ষ থেকে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘাত শুরু হতে পারে।

সীমান্তে রাশিয়ার এই যুদ্ধ প্রস্তুতি আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচনা করছে ন্যাটো।

বাইডেন আগেই সতর্ক করে বলেছেন, যদি রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে, তবে তাকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক অবরোধ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য পদক্ষেপও বিবেচনা করবে যুক্তরাষট্র।

তবে বৈঠকে পুতিনও পাল্টা জবাব দেন। তিনি ইউক্রেনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান। পাশাপাশি সীমান্তের পূর্বদিকে ন্যাটোর শক্তিমত্তা বৃদ্ধির বিষয়টিও তিনি তুলে ধরেন। ন্যাটোর সেনাদের প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।

বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান।

তিনি জানান, ‘প্রয়োজনে কঠোর জবাব দিতে প্রস্তুত আছে ওয়াশিংটন। বিশেষ করে ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলে নেয়ার সময় যা করিনি আমরা, তা এখন করতে প্রস্তুত’।

তবে এ ভার্চুয়াল বৈঠকের আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ বলেন, কারও ওপর আগ্রাসন চালানোর চিন্তা-ভাবনা রাশিয়ার নেই। তবে রাশিয়ার নিজস্ব রেডলাইন আছে, যা অতিক্রম করলে রাশিয়া জবাব দেবে।

পেসকভ আরও বলেন, এ বৈঠক থেকে বড় কোনো সাফল্য আশা করা কঠিন।

এ বিভাগের আরো খবর