বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নাগাল্যান্ডের ঘটনায় অমিত শাহর পদত্যাগ চায় তৃণমূল

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:৫৮

তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেন, 'একের পর এক নাগরিকের যখন হত্যা করা হচ্ছিল, তখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী করছিলেন? আমরা গোটা ঘটনার যথাযথ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই।'

ভারতের নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সাধারণ মানুষ নিহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পদত্যাগের দাবি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সোমবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব এই দাবি তোলেন।

নাগাল্যান্ডে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্যজুড়ে ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি সব ধরনের গাড়ি চালানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নাগাল্যান্ডের নেইফি রিও প্রশাসন।

পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তৃণমূল কংগ্রেস সোমবার মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে নাগাল্যান্ডে তাদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করে কলকাতায় সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলনে নাগাল্যান্ড পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের নাগাল্যান্ড যাওয়ার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব অভিযোগ করেন, 'নাগাল্যান্ডে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা গণতন্ত্রে আঘাত। দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যর্থতা।’

তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেন, 'একের পর এক নাগরিকের যখন হত্যা করা হচ্ছিল, তখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী করছিলেন? আমরা গোটা ঘটনার যথাযথ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই।' এরপর ঘটনার জবাবদিহিতা চেয়ে অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

মিজোরামের সাবেক এজি তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, 'যারা প্রাণ হারিয়েছেন, সেসব পরিবার ও স্থানীয় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এই প্রতিনিধি দল যাচ্ছিল। নাগাল্যান্ড সরকার এবং কেন্দ্রের মোদি সরকার এই রাজ্যের সমস্যা মেটাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সিট গঠন করে দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে না। এমনটা কেন হলো, তার কারণ আমরা জানতে চাই।'

এর আগে শনিবার রাতে নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিংয়ে সন্ত্রাস দমন অভিযান চলার সময় সেনাদের স্পেশাল ফোর্সের গুলিতে ১৬ জন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে তীব্র নিন্দা করে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হন এবং সোমবার নাগাল্যান্ডে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন।

ওই প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য সুস্মিতা দেব দাবি করেন, 'বিজেপির শাসনকালে উত্তর-পূর্ব ভারত সবচেয়ে বেশি অশান্ত হয়েছে।’নর্থ-ইস্টের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, 'জোর করে নয়, কথাবার্তার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন।’

এদিকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোয় সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ আইন বা আফসপা বাতিলের দাবি তুলেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। তার দল এনপিপিও এই দাবিতে সরব। নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফি রিও-ও রয়েছেন সোচ্চার। বিজেপি সরকারের আমলে ওই বিতর্কিত আইন আরও বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে। বিজেপির শাসনকালে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোয় একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।

সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর এই বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসও।

নাগাল্যান্ডের গণহত্যার ঘটনায় সোমবার লোকসভা ও রাজ্যসভা উত্তাল হয়ে ওঠে। বিরোধীরা দাবি করেন, নাগাল্যান্ড থেকে আফসপা প্রত্যাহার করতে হবে।

লোকসভা এবং রাজ্যসভায় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে বলেন, 'এই ঘটনায় অনুশোচনা রয়েছে ভারত সরকারের। মৃতদের জন্য শোক প্রকাশ করছি । তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও এখন নিয়ন্ত্রণে। সব কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিশ্চিত করতে হবে, ভবিষ্যতে যাতে আর এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।'

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বক্তব্যের মধ্যে বিরোধীরা স্লোগান তোলেন, 'এসব চলবে না।' বিরোধী দলের সাংসদরা নাগাল্যান্ডের গণহত্যা এবং আফসপা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন।

এ বিভাগের আরো খবর