প্রেমের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো বয়সসীমা নেই। তবু মিয়ানমারের তরুণী জো আর যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা ডেভিডের প্রেম খবরের শিরোনাম হয়েছে। কারণ তাদের বয়সের ব্যবধান প্রায় ৫৭ বছর। শিগগিরই তারা বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বর্তমানে এই জুটির মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার মাইলের দূরত্ব। কারণ ২০ বছর বয়সী জো এখনও মিয়ানমারে পড়াশোনা করছেন। আর তার ৭৭ বছরের প্রেমিক ডেভিড একজন সংগীত পরিচালক, থাকেন ইংল্যান্ডে। বয়সের কারণেই তিনি এখন পেনশনভোগী।
দ্য সান জানিয়েছে, আলোচিত এই প্রেমের শুরুটা হয়েছিল আরও ১৮ মাস আগে একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপে। ওই সাইটটিতে জো মূলত একজন পরামর্শকের খোঁজ করছিলেন; যিনি তাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করবেন। আর নারীদের সঙ্গে একটু গালগল্প করার জন্যই ওই সাইটে প্রবেশ করেছিলেন ডেভিড।
এ প্রসঙ্গে ডেভিড বলেন, ‘আমি আসলে যুক্তরাজ্যে বাস করা কম বয়সী নারীদের খোঁজ করছিলাম। আমার মতো বয়সে এ ধরনের সাইটে কারও কাছ থেকে রিপ্লাই পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।’
এদিকে মিয়ানমারে বসবাস করলেও ওই ডেটিং সাইটটিতে নিজেকে যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা হিসেবেই উপস্থাপন করেছিলেন জো। তাই ডেভিড তাকে ‘টোকা’ দিয়েছিলেন। এতে সাড়া দেন জোও।
খুচরো কথাবার্তা দিয়েই দুজনের যোগাযোগ শুরু হয়েছিল। কিন্তু শিগগিরই তা সিরিয়াস প্রেমে মোড় নিয়েছে।
জো বলেন, ‘প্রায় সব ব্যাপার নিয়েই আমি ডেভিডকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা শুরু করলাম। একসময় বুঝতে পারলাম আমি তার প্রেমে পড়েছি। কারণ তিনি খুব আবেগপ্রবণ আর যত্নশীল।’
জো আরও বলেন, ‘কৌতুকময় কথা আর অভিব্যক্তি দিয়ে ডেভিড আমাকে দারুণ হাসাতে পারে। সারাক্ষণ শুধু তার কথাই মনে পড়ে।’
ভিন্ন অবস্থানের কারণে দুজনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ৬ ঘণ্টারও বেশি। তবু প্রেমের উন্মাদনায় রাত-বিরাতে যখন তখন ডেভিডকে স্মরণ করেন জো। আর ছোকরা প্রেমিকের মতো সাড়া দেন ডেভিডও।
এর আগে ১৯৮০-এর দশকে ডেভিড আরেকটি বিয়ে করেছিলেন। তবে এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি এখন নিঃসঙ্গ।
ডেভিড বলেন, ‘জো আমার কাছে বিশেষ কিছু। কারণ তার হৃদয় খুব উষ্ণ আর স্নেহপূর্ণ।’
দুঃখজনক ব্যাপার হলো- দেড় বছর ধরে প্রেম করলেও তাদের মধ্যে এখনও দেখাই হয়নি। গোলযোগপূর্ণ মিয়ানমার ত্যাগ করে যুক্তরাজ্যে যাওয়া সহজ ব্যাপার নয়। তবু একে অন্যের সান্নিধ্য পেতে তারা এখন দিন গুনছেন। ইতিমধ্যেই পাসপোর্ট আর ভিসার জন্য জো আবেদনও করেছেন। নতুন জীবন শুরু করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।