করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে, তাতে বড় ধরনের ঝুঁকি দেখছেন না হোয়াইট হাউসের করোনা মহামারি মোকাবিলাবিষয়ক টাস্কফোর্সের অন্যতম সদস্য অ্যান্থনি ফাউসি।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের তীব্রতার যে প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে তা বেশ আশাব্যঞ্জক। তবে এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রয়োজন।
সাউথ আফ্রিকাতেও লক্ষ করা গেছে, ওমিক্রন ধরনের আবিভার্বের পরেও দেশটিতে করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে নেয়ার হার বৃদ্ধি পায়নি। সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
ফাউসি বলেন, ‘এখন ওমিক্রন বিষয়ে বিবৃতি দিলে তা বেশ আগে দেয়া হয়ে যায়। তবুও নতুন ভ্যারিয়েন্টকে তীব্র কোনো ভ্যারিয়েন্ট মনে হচ্ছে না। তবে ডেল্টার তুলনায় এটির ক্ষতির মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। রয়টার্সের তথ্য মতে, ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, নেবরাস্কা, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, পেনসিলভানিয়া, উটাহ, ওয়াশিংটন ও উইসকনসিন রাজ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, সামনের সপ্তাহগুলোতে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং নতুন করে বিশ্বের অনেক দেশেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের সব দেশকে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক তাকেশি কাসাই বলেন, ‘কয়েক দফা মিউটেশন হওয়ায় ওমিক্রন নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। এ ছাড়া প্রাথমিক তথ্য বলছে, এটি অন্য সব ধরন থেকে দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। আমাদের বেশি বেশি পরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ করা উচিত।’
আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় ১১ নভেম্বর প্রথম ‘বি.১.১.৫২৯’ ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়, যাকে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ওমিক্রন’ বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) । ‘বি.১.১.৫২৯’ ভ্যারিয়েন্টকে উদ্বেগজনক ধরন হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে ডব্লিউএইচও।