বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাইরাল সেই ভিক্ষু কি মৃত্যুর পরেও জীবিত!

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:৪৪

ভিক্ষুর ছবি ও বর্ণনা মিলে চিত্তাকর্ষক হওয়ায় অনেকেই কপি করে নিজের ওয়ালে তা শেয়ার করেছেন। তবে এই ছবি ও বর্ণনার সূত্র অনুসন্ধান করতে গিয়ে চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছে নিউজবাংলা। 

কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর ছবি। নির্বাণ লাভের পরও তার হাস্যোজ্জ্বল মুখের প্রতিচ্ছবি দৃষ্টি কেড়েছে নেটিজেনদের।

সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই দাবি করছেন, সম্প্রতি হিমালয়ের দুর্গম এক পাহাড়ি গুহা থেকে এই প্রাচীন বৌদ্ধ ভিক্ষুর শরীর উদ্ধার করেছে নেপালের কিছু নৃতত্ত্ববিদ ও পুলিশ। পরে একটি মেডিক্যাল টিম পরীক্ষা করে জানিয়েছে, ওই ভিক্ষুর শরীরে এখনও প্রাণ আছে। আর ফরেনসিক টিমের বক্তব্য হলো- ওই ভিক্ষুর বয়স ২৫০ থেকে ৩০০ বছর হতে পারে। বর্তমানে তিনি সজ্ঞানে নেই। ধ্যানরত অবস্থায় সমাধি লাভ করেছেন। অর্থাৎ শরীরের ভেতর প্রাণ থাকলেও জ্ঞান নেই‌।

আরও দাবি করা হয়, ধ্যানরত ওই ভিক্ষুর পাশ থেকে এক টুকরো কাগজও পাওয়া গেছে। সাংকেতিক ভাষায় ওই লেখাটির মর্মার্থ দাঁড়ায়- ‘সবাই কাঁচা বাদাম বেচলে কিনবে কে?’

ভিক্ষুর ছবি ও বর্ণনা মিলে চিত্তাকর্ষক হওয়ায় অনেকেই কপি করে নিজের ওয়ালে তা শেয়ার করেছেন। তবে এই ছবি ও বর্ণনার সূত্র অনুসন্ধান করতে গিয়ে চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছে নিউজবাংলা।

দেখা গেছে, ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। ভিক্ষুর ছবিটির উৎস বের করতে গিয়েই মিলেছে এমন তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভাইরাল হওয়া ছবির ব্যক্তিটি আসলে বৌদ্ধ ভিক্ষু লুয়াং ফোর পিয়ানের। ২০১৭ সালে তিনি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে মারা যান।

ছবিটি দিয়ে গুগল ইমেজে সার্চ করে দেখা যায়, ২০১৮ সালেও এই ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম। এর মধ্যে ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর ব্যাংককের একটি হাসপাতালে অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছিল ৯২ বছর বয়সী ভিক্ষু পিয়ানের।

আরও জানানো হয়, মৃত্যুর দুই মাস পর একটি কফিনের ভেতর থেকে পিয়ানের মরদেহটি ছবি তোলার জন্য তার অনুসারীরা বের করে আনেন। সে সময় একটি ধর্মীয় আচারের অংশ হিসেবে মরদেহে নতুন পোশাক পরানো হয়।

থাইল্যান্ডে মারা গেলেও লুয়াং ফোর পিয়ানের জন্ম কম্বোডিয়ায়। পরে জীবনের বেশির ভাগ সময় তিনি থাইল্যান্ডের লবপুরিতে বৌদ্ধ গুরু হিসেবে কাটান।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম মেট্রোর এক খবরে বলা হয়, মৃত্যুর দুই মাস পরও ভিক্ষু পিয়ানের দেহ অনেকটা সজীব ছিল। সাধারণত কেউ মারা গেলে ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকে।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে যেসব তথ্যসহ ভিক্ষু পিয়ানের ছবিটি ভাইরাল করা হয় সেগুলোর মূল উৎসও পাওয়া গেছে। তবে সেসব তথ্য যে ভিক্ষুকে কেন্দ্র করে তার মরদেহ ২০১৫ সালে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রায় অবিকৃত অবস্থায় উদ্ধার করা মরদেহটি বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা দাবি করেন, অন্তত ২০০ বছর আগে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর