বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে শ্রীলঙ্কানকে পুড়িয়ে হত্যা

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯:১২

শিয়ালকোটের পুলিশপ্রধান আরমাগান গোন্ডাল বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, হত্যার আগে প্রিয়ান্থা কুমারার বিরুদ্ধে হজরত মুহম্মদের (স.) নামসংবলিত একটি পোস্টার অবমাননার অভিযোগ তুলেছিল শ্রমিকরা। কারখানার ভেতরেই নির্যাতনে হত্যার শিকার হন তিনি। পরে তার মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়।

ইসলাম ধর্মের নবী হজরত মুহম্মদকে (স.) অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের শিয়ালকোটের এক কারখানার শ্রীলঙ্কান কর্মকর্তাকে নির্যাতনের পর পুড়িয়ে হত্যা করেছে শ্রমিকরা।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিয়ালকোটের ওয়াজিরাবাদ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। প্রিয়ান্থা কুমারা নামে ওই শ্রীলঙ্কান কারখানাটির রপ্তানিবিষয়ক কর্মকর্তা ছিলেন।

শিয়ালকোটের পুলিশপ্রধান আরমাগান গোন্ডাল বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, হত্যার আগে প্রিয়ান্থা কুমারার বিরুদ্ধে হজরত মুহম্মদের (স.) নামসংবলিত একটি পোস্টার অবমাননার অভিযোগ তুলেছিল শ্রমিকরা। কারখানার ভেতরেই নির্যাতনে হত্যার শিকার হন তিনি। পরে তার মরদেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত ৫০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন পাঞ্জাব সরকারের মুখপাত্র হাসান খাওয়ার।

শিয়ালকোটের আরেক পুলিশ কর্মকর্তা সাইদ মালিক জানিয়েছেন, হত্যার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

ইতিমধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এক টুইট বার্তায় শিয়ালকোট হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

তিনি লিখেছেন, ‘শিয়ালকোটের কারখানায় ঘটা সংঘবদ্ধ নৃশংসতা ও শ্রীলঙ্কান ম্যানেজারকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা পাকিস্তানের জন্য লজ্জার দিন। আমি তদন্তের বিষয়টি দেখভাল করছি। এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।’

তবে শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মন্তব্য জানায়নি শ্রীলঙ্কা সরকার।

হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন।

২০১০ সালেও শিয়ালকোটে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় ডাকাত আখ্যা দিয়ে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছিল স্থানীয়রা।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় আইনে ধর্ম অবমাননার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

এ বিভাগের আরো খবর