বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংস্পর্শে পাঁচজনের করোনা

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৩০

যে দুজনের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৪৬। বেঙ্গালুরুর ওই চিকিৎসকের টিকার দুটি ডোজই নেয়া হয়ে গিয়েছে। তিনি সম্প্রতি বিদেশ যাত্রাও করেননি। গত মাসে তার জ্বর আসে ও গায়ে ব্যথা অনুভূত হয়।

ভারতে প্রবেশ করেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন।

বৃহস্পতিবারই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কর্ণাটকে দুই করোনা আক্রান্তের নমুনায় মিলেছে ওমিক্রন।

সে ঘোষণার পরই কর্ণাটক সরকার জানায়, ওই দুজনের মধ্যে একজনের সংস্পর্শে আসা পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তাদের নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যে দুজনের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৪৬। বেঙ্গালুরুর ওই চিকিৎসকের টিকার দুটি ডোজই নেয়া হয়ে গিয়েছে। তিনি সম্প্রতি বিদেশ যাত্রাও করেননি। গত মাসে তার জ্বর আসে ও গায়ে ব্যথা অনুভূত হয়।

এরপর তিনি নমুনা পরীক্ষা করান। গত ২১ নভেম্বর তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই দিনই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তার নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং- এর জন্য পাঠানো হয়। তিন দিন পরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

কারা কারা ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছেন, তা খতিয়ে দেখা হয় কর্ণাটকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। ১৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়, যারা সরাসরি সংস্পর্শে এসেছেন।

এ ছাড়া পরোক্ষভাবে সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ২৫০ জনকে চিহ্নিত করা হয়। তবে দ্বিতীয় আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ২৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি।

বেঙ্গালুরু মহানগর সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি ভারতের নাগরিক নন। চলতি মাসের ২০ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বেঙ্গালুরুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। তার করোনা টিকার দুটি ডোজই নেয়া ছিল।

পরেই তিনি একটি হোটেলে যান। তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সরকারি চিকিৎসক হোটেলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করেন। করোনার উপসর্গ থাকায় তাকে হোটেলের ঘরে কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দেন চিকিৎসক।

দক্ষিণ আফ্রিকাতেই যেহেতু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রথম হদিশ পাওয়া গিয়েছিল, তাই জিনোম সিকোয়েন্সিয়ের জন্য ২২ নভেম্বর পুনরায় তার নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়।

২৪ জন ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন, প্রত্যেকেরই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

পরোক্ষভাবে সংস্পর্শে আসা ২৪০ জন ব্যক্তিরও করোনা পরীক্ষা করে পুরসভা। তাদের সকলের পরীক্ষার ফলাফলও নেগেটিভ আসে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২৩ নভেম্বর ওই ব্যক্তি আরও একবার করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষায় করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ে। এরপরই ২৭ নভেম্বর তিনি হোটেল ছেড়ে চলে যান। বিমানে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

কিছুদিন আগেই করোনার ওই ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মূলত দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

বিশ্বের যে সব দেশে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সে দেশগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। এই ভ্যারিয়েন্টের অভিযোজন ক্ষমতা বেশি হওয়ার কারণে তার সংক্রমণ ক্ষমতাও অনেক।

এ বিভাগের আরো খবর