বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড মোকাবিলায় তৎপর ইইউ

  • ইমরানুর রহমান, ডেস্ক    
  • ১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:০৩

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে অনেক দেশই সন্দেহের চোখে দেখে। ‘চীনা ঋণের ফাঁদ’ কথাটি এখন বৈশ্বিকভাবে ব্যবহৃত। এশিয়া ও আফ্রিকায় উন্নয়নশীল দেশগুলোয় প্রধানত মহাসড়ক, রেলপথ, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ নানা অবকাঠামোয় সহজ শর্তে যে বিপুল ঋণ দিয়ে থাকে বেইজিং, তাতে বেশির ভাগ দেশ প্রলুব্ধ হচ্ছে।

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভ প্রকল্পের বিপরীতে বিশ্বব্যাপী কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ, পরিবেশ ও জ্বালানি খাত ঘিরে বিনিয়োগের এই পরিকল্পনা নিয়েছে ইইউ।

আফ্রিকাসহ বিশ্বের যে কোনো অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় একে পশ্চিমাদের নেয়া শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান ভন ডার লেইন এ প্রচেষ্টাকে ‘গ্লোবাল গেটওয়ে’ শিরোনামে উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। ইইউ ইতোমধ্যে খতিয়ে দেখছে এই প্রকল্পে বিলিয়ন বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করে ঠিক কীভাবে তারা লাভবান হতে পারে।

স্টেট ইউনিয়নের ভাষণে গত সেপ্টেম্বরে ভন ডার লেইন জানিয়েছিলেন, টেকসই অবকাঠামো, পণ্য বিপণন ব্যবস্থাপনা ও সেবা খাতে সারা বিশ্বে বিনিয়োগ করতে চায় ইইউ।

ধারণা করা হচ্ছে, চীনের বৈশ্বিক নীতির সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গ্লোবাল গেটওয়ে প্রকল্পটিকে এখনই সামনে আনতে চাচ্ছে না ইইউ। তবে জার্মান মার্শাল ফান্ডের সিনিয়র ট্রান্সআটলান্টিকের ফেলো এন্ড্রু স্মল মনে করছেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভ প্রকল্প থেকেই গ্লোবাল গেটওয়ের ধারণা এসেছে।

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভ শুধু বাণিজ্যিক প্রকল্প নয়, এটি চীনের পররাষ্ট্রনীতিরও অংশ। যার মাধ্যমে প্রভাবশালী দেশটি উন্নয়নশীল দেশে নতুন রাস্তা, বন্দর, রেলপথ ও সেতু নির্মাণে বিনিয়োগ ও ঋণ দিয়ে থাকে। পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ এশিয়ার অনেক দেশই এখন এই প্রকল্পের অংশ। এ ছাড়া আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া ও জিবুতিতেও চীনের অনেক প্রকল্প আছে। ইইউর সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী পশ্চিম বলকানও তাদের কব্জায়।

সম্ভাবনার পাশাপাশি একই সঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে অনেক দেশই সন্দেহের চোখে দেখে। ‘চীনা ঋণের ফাঁদ’ কথাটি এখন বৈশ্বিকভাবে ব্যবহৃত। এশিয়া ও আফ্রিকায় উন্নয়নশীল দেশগুলোয় প্রধানত মহাসড়ক, রেলপথ, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ নানা অবকাঠামোয় সহজ শর্তে যে বিপুল ঋণ দিয়ে থাকে বেইজিং, তাতে বেশির ভাগ দেশ প্রলুব্ধ হচ্ছে।

এই ঋণের দায়ে সমুদ্রবন্দরও চীনকে ইজারা দিতে বাধ্য হয়েছে শ্রীলংকা। তাই উন্নয়নশীল দেশগুলোর চীনা ঋণে আগ্রহ থাকলেও, তাদের মধ্যে ভীতিও কাজ করে। আর এই ভীতিকেই হয়তো কাজে লাগাতে চাচ্ছে গ্লোবাল গেটওয়ে।

এন্ড্রু স্মল গ্লোবাল গেটওয়েকে দেখছেন চীনের নব্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আধিপত্যের বিপরীতে প্রথম কোনো পশ্চিমা পদক্ষেপ হিসেবে। তিনি মনে করেন, এতে চীনের সঙ্গে নিশ্চিতভাবেই পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে।

এ বিভাগের আরো খবর