করোনাভাইরাসের রূপ পরিবর্তিত নতুন ধরন ওমিক্রনকে উদ্বেগজনক ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সম্ভাব্য অধিক সংক্রামক করোনার এই ধরনটি প্রথম চিহ্নিত করে সাউথ আফ্রিকা।
এরপর গত কয়েক দিনে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের কমপক্ষে ১৬টি দেশে ওমিক্রন নিশ্চিত শনাক্ত হয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ওমিক্রন শনাক্ত করা দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, সাউথ আফ্রিকা, স্পেন ও যুক্তরাজ্য।
সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে সাউথ আফ্রিকায়, ৭৭ জনের দেহে। বতসোয়ানায় ১৯ জন এবং নেদারল্যান্ডস ও পর্তুগালে ১৩ জন করে মানুষের দেহে ওমিক্রনের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে।
শনাক্তদের বেশির ভাগই সম্প্রতি সাউথ আফ্রিকা, মোজাম্বিক, বতসোয়ানা, মালাউয়ি বা আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণের কোনো না কোনো দেশ ভ্রমণ করেছেন।
আফ্রিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে গেলেও এখনও এশিয়ার কোনো দেশে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়নি।
যদিও সম্প্রতি সাউথ আফ্রিকা ভ্রমণ করে ভারতে পা রাখা ৩৯ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি চন্ডিগড়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। তার সংস্পর্শে আসা দুই ব্যক্তিও করোনা পজিটিভ। তারা ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না, তা নিশ্চিতে তাদের দেহ থেকে সংগৃহীত নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে।
ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ নীতিমালা কঠোর করাসহ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। এরই মধ্যে আফ্রিকার দক্ষিণের দেশগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ।
২০১৯ সালে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত কোভিড নাইনটিনের চেয়ে অনেকটাই আলাদা ওমিক্রন কোভিড ও কোভিডের অন্যান্য ধরনের চেয়ে অধিক সংক্রামক কি না, গুরুতর অসুস্থতা কারণ কি না, করোনা প্রতিরোধী বিদ্যমান টিকা ওমিক্রনের ওপর কার্যকর কি না, শনাক্তের উপায় ও সম্ভাব্য চিকিৎসা কী ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর পেতে লেগে যেতে পারে কয়েক সপ্তাহ বা আরও বেশি সময়।