ভারতকে সব দেশের সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। করোনাভাইরাসের রূপ পরিবর্তিত নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার রুখতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল স্থগিতের আহ্বান জানান তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদিকে এ ধরনের অনুরোধ আগেও করেছেন কেজরিওয়াল। দুইদিন আগেই মোদির উদ্দেশ্যে লেখা একটি চিঠিতে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া দেশগুলো থেকে ‘অবিলম্বে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের’ আহ্বান জানান তিনি। টুইটারে চিঠির ছবি প্রকাশ করে লেখেন, ‘সামান্য বিলম্বের পরিণতিও মারাত্মক হতে পারে’।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তিনি লেখেন, গত বছরও করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম ধাক্কা আঘাত হানা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছিল মোদি সরকার। ওমিক্রন আতঙ্কে সব দেশ যখন এ সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করছে, ভারত তখন দর্শকের ভূমিকায়।
এখন পর্যন্ত আফ্রিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকার কমপক্ষে ১৩টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। সোমবারই করোনার নতুন এ প্রজাতিটি ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এমন পরিস্থিতিতে ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসরায়েল ও জাপান।
এ অবস্থায় কেজরিওয়াল হিন্দি ভাষায় লেখা টুইটে মোদির প্রতি জরুরি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ওমিক্রন শনাক্ত দেশগুলো থেকে ফ্লাইট আসা বন্ধ করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। আমরা কেন অপেক্ষা করছি?
‘মহামারির প্রথম ধাক্কার সময়েও ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে আমরা দেরি করেছিলাম। ভারতে আগত বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটই দিল্লিতে অবতরণ করে… সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তও তাই দিল্লিই হয়। প্রধানমন্ত্রী, দয়া করে ফ্লাইট বন্ধ করুন।’
পোস্টের সঙ্গে বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের একটি খবরও যুক্ত করে দেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী। খবরে বলা হয়, সম্প্রতি সাউথ আফ্রিকা ভ্রমণ করে ভারতে পা রাখা ৩৯ বছর বয়স্ক এক ব্যক্তি চন্ডিগড়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তার সংস্পর্শের আসা দুই ব্যক্তিও করোনা পজিটিভ।
তারা ওমিক্রনে আক্রান্ত কি না, তা নিশ্চিতে তাদের দেহ থেকে সংগৃহীত নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হবে।
ওমিক্রন আতঙ্কে দিল্লি মহামারির নতুন ধাক্কার জন্য কতটা প্রস্তুত, সে বিষয়ে জরুরি পর্যালোচনা বৈঠক করবেন কেজরিওয়াল।
মহারাষ্ট্রে উদ্ধাভ ঠাকরের সরকারও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি একই অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।