বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবি, ২৭ মৃত্যু

  •    
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২১ ০৮:৩৮

হতাহতদের পরিচয় বা জাতীয়তার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে লন্ডনভিত্তিক সংবাদপত্র টাইমস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন আফগান সেনা।

আটলান্টিক মহাসাগরের ইংলিশ চ্যানেল অংশে অভিবাসীবোঝাই একটি নৌকা ডুবে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ২৭ জন শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীর।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স আলাদা হয়েছে সাগরের যে অংশে, সেখানে এ ধরনের দুর্ঘটনা এবং এত বিপুল প্রাণহানি এটাই প্রথম। ২০১৪ সাল থেকে এ-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে সংস্থাটি।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অভিবাসীদের নিয়ে যুক্তরাজ্যগামী ডিঙি নৌকাটি ফ্রান্সের ক্যালে শহরের কাছে প্রথমে উল্টে যায়, এরপর ডুবে যায়।

ফরাসি প্রশাসন প্রথমে ৩১ জনের মৃত্যুর খবর জানালেও পরে তথ্য সংশোধনীর মাধ্যমে সংখ্যাটি ২৭-এ নেমে আসে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও একজন কিশোরী।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, সাগর তুলনামূলক শান্ত থাকায় বুধবার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হয়।

স্থানীয় জেলেদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাগর শান্ত থাকলেও এদিন পানি অনেক ঠাণ্ডা ছিল।

জেলেদের একজন সাগরে একটি খালি ডিঙি নৌকা আর আশপাশে অচেতন মানুষজনকে ভাসতে দেখে উদ্ধারকর্মীদের খবর দেন। এরপর কমপক্ষে তিনটি নৌকা ও তিনটি হেলিকপ্টার নিয়ে কাজ শুরু করে ফরাসি-ব্রিটিশ যৌথ উদ্ধারকারী বাহিনী।

জীবিত উদ্ধার দুই ব্যক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুজনই ভুগছেন গুরুতর হাইপোথারমিয়ায়। এখনও নিখোঁজ একজন।

নৌকাডুবির এ ঘটনায় এরই মধ্যে চার সন্দেহভাজনকে ফরাসি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন। বেলজিয়াম সীমান্ত থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধভাবে সমুদ্রপথে নৌকাটিতে মানুষ পাচারের সঙ্গে তারা যুক্ত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হতাহতদের পরিচয় বা জাতীয়তার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে লন্ডনভিত্তিক সংবাদপত্র টাইমস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন আফগান সেনা। তিনি তালেবানবিরোধী যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিলেন। কট্টরপন্থি তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর প্রতিহিংসার শিকার হওয়ার ভয়ে লাখো মানুষের মতো ওই সেনাও পরিবারসহ দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সহযোগিতার আশায় বসে থাকার পর শেষমেশ বাধ্য হয়েই অবৈধ ও বিপজ্জনক পথে সাগর পাড়ি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত নৌপথ ইংলিশ চ্যানেল। সাগরের এ অংশটিতে স্রোতও বেশ তীব্র। গত তিন বছর ধরে পথটিতে অবৈধ অভিবাসীদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি।

আদম পাচারকারীরা এ পথে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই নৌকা ছেড়ে দেয়। স্রেফ ভাগ্যের ওপর আস্থা রেখে বিশাল ঢেউ পার হয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাখোঁ।

এ বিভাগের আরো খবর