পৌরসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে ত্রিপুরা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর জামিন পেয়েছেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের কমিনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর ত্রিপুরা রাজ্য শাখা।
রোববার ত্রিপুরা রাজ্য সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
এতে লেখা হয়েছে, ‘রাজ্যে পৌর সংস্থাগুলোর নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, তত বেশি শাসক বিজেপি দলের সন্ত্রাস বাড়ছে।’
ত্রিপুরায় সিপিএম সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষে রাখাল মজুমদার বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘পূর্ব আগরতলা মহিলা থানায় তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে ডেকে নিয়ে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে পুলিশ জামিন অযোগ্য বিভিন্ন ধারায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। থানার ভেতরে জিজ্ঞাসাবাদ চলার সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা থানা চত্বরে ঢুকে তাদের আক্রমণ এবং ভাঙচুর করেছে। সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছে।’
বামপন্থিদের ওপরও বিজেপি হামলা চালাচ্ছে বলে ওই বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়।
এতে লেখা হয়েছে, ‘বামপন্থিসহ সব বিরোধী প্রার্থী এবং দলের নেতারা আক্রান্ত হচ্ছেন। নির্দিষ্ট অভিযোগ করার পরেও পুলিশ কোনো দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করছে না। পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।’
তৃণমূলের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে হইচই পড়ে। সোমবার সকালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ত্রিপুরা পৌঁছান।
ত্রিপুরা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে সোমবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সময় চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সেই না মেলায় দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল সংসদীয় দল।
সোমবারই চার দিনের দিল্লি সফরে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ত্রিপুরার আঁচ পড়েছে দিল্লিতে। আর দেশের নজর এখন ত্রিপুরায়।