বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বাগদত্তাকে যৌনতার মেসেজ পাঠানো বেআইনি নয়’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ নভেম্বর, ২০২১ ২২:৩৮

ভারতীয় ওই আদালত মনে করেন, বাগদত্তাকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানো অসম্মানজনক তো নয়ই, উপরন্তু এটি দুজনের জন্যই আনন্দদায়ক একটি ব্যাপার হতে পারে।

বাগদত্তাকে ‘অশ্লীল’ মেসেজ পাঠানো অসম্মানের কিছু নয়। এক মামলার রায়ে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের মুম্বাইয়ের এক আদালত।

১১ বছর আগে করা মামলাটির শুনানি হয় শনিবার। মামলায় অভিযুক্তকে অব্যাহতিও দিয়েছেন আদালত। ৩৬ বছর বয়সী ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন তার সাবেক প্রেমিকা ও বাগদত্তা।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, যে প্রেমের ঘটনাপ্রবাহ আদালত পর্যন্ত গড়ালো তার শুরুটা হয়েছিল ২০০৭ সালে। সেবার একটি বিয়ে বিষয়ক ওয়েবসাইটে তাদের প্রথম পরিচয় ও পরে দেখা হয়। দুই বছর তারা প্রেম করার পর যে কোনো মূল্যে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এমনকি পরিবার মত না দিলেও তারা বিয়ের পণ করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রেমিক একটি বাসাও ভাড়া করেছিলেন হবু স্ত্রীকে নিয়ে বসবাসের জন্য।

কিন্তু ওই যুবকের মা এমনভাবে বেঁকে বসেছিলেন, যার কাছে তাকে হার মানতে হয়। বিয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিতে বাধ্য হন তিনি। এ ঘটনার সূত্র ধরে, ২০১০ সালে ওই যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তার প্রেমিকা। মামলার অভিযোগনামায় এটাও উল্লেখ ছিল যে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর নানাভাবে অশ্লীল মেসেজ পাঠাতেন ওই যুবক।

মামলাটির রায় দেয়ার সময় তাই অশ্লীল মেসেজ প্রদানের প্রসঙ্গটিও আদালতে উঠে আসে।

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় ওই আদালত মনে করেন, বাগদত্তাকে অশ্লীল মেসেজ পাঠানো অসম্মানজনক তো নয়ই, উপরন্তু এটি দুজনের জন্যই আনন্দদায়ক একটি ব্যাপার হতে পারে। এমন আচরণ থেকে সম্পর্কের গভীরতা বোঝতেও সুবিধা হয় হবু স্বামী ও স্ত্রীর।

আদালত মনে করেন, যদি কোনো পক্ষ এ ধরনের অশ্লীল মেসেজ মেনে নিতে না পারেন, তবে তার উচিত অন্য পক্ষকে তা জানিয়ে দেয়া।

ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে- যে নারী ১১ বছর ধরে মামলাটি লড়ছেন তার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে আদালতের রায়ে বলা হয়, এক্ষেত্রে ওই যুবকের দ্বারা কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। কারণ যৌনতার ক্ষেত্রে তখন দুই পক্ষেরই সম্মতি ছিল। আরও বলা হয়, বিয়ের আগেই হবু স্বামীকে যৌনতা চরিতার্থ করার সুযোগ দেয়া উচিৎ হয়নি ওই নারীর।

এ বিভাগের আরো খবর