সম্মিলিত কিষান মোর্চার হিসাব অনুসারে, বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় নিহত কৃষকদের আনুমানিক সংখ্যা ৬৭০। নিহতদের মধ্যে ৫০০ জনেরও বেশি পাঞ্জাবের। চলমান কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা রাকেশ টিকাইত প্রশ্ন তুলেছেন শহীদ হওয়া কৃষকদের পরিবারগুলোর দায়িত্ব কে নেবে।
দিল্লির তিন সীমান্তের আন্দোলনরত কৃষকরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী কৃষি আইনগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলবে। তারা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য আইন এবং গত এক বছরে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে করা পুলিশি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন এবং ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যসহ (এমএসপি) অন্যান্য বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘোষণা সত্ত্বেও কৃষক সংগঠনগুলো অবিলম্বে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করেন।
রাকেশ টিকাইতকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে টিকরি, সংঘু ও গাজীপুর সীমান্ত থেকে আন্দোলনকারীরা এখনও সরে যায়নি কেন। জবাবে কৃষক নেতা বলেন, সীমান্ত খালি করার বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। এক বছর ধরে কৃষকরা এখানে আন্দোলন করছেন। শহীদ হয়েছেন প্রায় ৭০০ কৃষক। এর দায় কে নেবে?
এ সময় রাকেশ টিকাইতকে প্রশ্ন করে সাংবাদিক, আগে আপনি বলতেন বিল প্রত্যাহার না হলে বাড়ি ফিরব না। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমে এসে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিল ফেরত নেয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে রাকেশ টিকাইত বলেন, ‘লক্ষাধিক কৃষক এখানে এক বছর ধরে ধরনায় বসে থেকেছেন। কয়েক শত মানুষ শহীদ হয়েছেন। আন্দোলনে যোগ দেয়ার জন্য কৃষকের ওপর আর্থিক জরিমানার দায় চাপানো হয়েছে। কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। গত এক বছরে এত ঘটনা ঘটেছে- তার হিসাব সমান হলেই ফিরে যাব। আর কয়েক দিন দেরি হবে, অসুবিধা কোথায়?’
উল্লেখ্য, শনিবার কৃষক সংগঠনগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইতিমধ্যে নির্ধারিত কর্মসূচিতে কোনো পরিবর্তন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৃষক সংগঠনগুলো বলেছে যে ২২ নভেম্বর লখনৌতে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশ এবং ২৯ নভেম্বর সংসদ অভিমুখে কৃষকদের মিছিলের সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না।