পবিত্র নগরী জেরুজালেমের প্রবেশপথে এক ফিলিস্তিনির হামলায় নিহত হয়েছে এক ইসরায়েলি নাগরিক, আহত হয়েছে আরও চারজন। নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা অভিযানে প্রাণ গেছে ওই ফিলিস্তিনিরও।
পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট হিসেবে পরিচিত আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে রোববার এ ঘটনা ঘটে।
চলতি বছরের মে মাসেও আল আকসায় মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনিদের উপর ব্যাপক সহিংসতা চালায় ইসরায়েল।
পুলিশ জানায়, সবশেষ হামলায় আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকিদের মধ্যে একজন গুরুতর আহত।
হামলাকারীকে পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দা চল্লিশোর্ধ্ব ফিলিস্তিনি হিসেবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। দাবি করেছে, তিনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার একজন সদস্য ছিলেন। তার স্ত্রী তিনদিন আগে দেশ ত্যাগ করেছে।
হামলার প্রশংসা করে বিবৃতি দিলেও দায় স্বীকার করেনি হামাস।
এক সপ্তাহের মধ্যে জেরুজালেমে এ ধরনের দ্বিতীয় ঘটনা এটি। এর আগে বুধবার সীমান্তে দুই ইসরায়েলি পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে এক ফিলিস্তিনি কিশোর। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েলিদের ওপর ছুরি নিয়ে, গুলি করে কিংবা গাড়ি তুলে দিয়ে ফিলিস্তিনিদের হামলাচেষ্টা নতুন কিছু নয়। যদিও গাড়ি তুলে দেয়ার কয়েকটি ঘটনা কেবল দুর্ঘটনা ছিল বলে দাবি অনেক অধিকারকর্মীর। এসব ঘটনায় ইসরায়েলি সেনারা অপ্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেছে বলেও অভিযোগ তাদের।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীরের পাশাপাশি খ্রিস্টান, মুসলিম ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র হিসেবে গণ্য পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল।