বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ইহুদি রক্ষায়’ যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হচ্ছে হামাস

  •    
  • ১৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:২০

আল-জাজিরার খবরে বলা হচ্ছে, নিষিদ্ধের প্রস্তাব পাস হলে সে দেশে বাস করা হামাস সমর্থকদের সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া হামাসের প্রতি সমর্থন, সংগঠনটির পতাকা ওড়ানো, এমনকি সভা আয়োজন হবে আইনের লঙ্ঘন।

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে এ বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের বরাতে এ খবর ছেপেছে আল-জাজিরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাটেল শুক্রবার জানান, হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক শাখাকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তাই পুরো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে তিনি।

হামাসের সামরিক শাখা দ্য আল কাশেম ব্রিগ্রেডসকে ২০০১ সালের মার্চে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল যুক্তরাজ্য। তারপর থেকে রাজনৈতিক নেতারা সংগঠনটির কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

আল-জাজিরার খবরে বলা হচ্ছে, নিষিদ্ধের প্রস্তাব পাস হলে সে দেশে বাস করা হামাস সমর্থকদের সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া হামাসের প্রতি সমর্থন, সংগঠনটির পতাকা ওড়ানো এমনকি সভা আয়োজন হবে আইনের লঙ্ঘন।

সরকারি সফরে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। সেখান থেকেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানান প্যাটেল। বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যে হামাসের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সম্পৃক্ততার সত্যতা মিলেছে। সংগঠনটির মধ্যে ইহুদি বিদ্বেষ তীব্র। এই জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় হামাসকে নিষিদ্ধ করা হবে।’

চলতি মাসের শুরুতে এক যুবক হামাসের আরেক সামরিক শাখা প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদকে সমর্থন করা একটি টি-শার্ট পরে ব্রিটিশ আদালতে হাজির হয়েছিলেন। ২০০৫ সালে প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ নিষিদ্ধ হয়েছিল যুক্তরাজ্যে।

এর আগে গত জুনে ফেরাস আল জয়োসি নামের এক ব্যক্তিকে হামাসের সমর্থন করা টি-শার্ট পরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় পূর্ব লন্ডনের ইহুদি অধ্যুষিত গোল্ডার্স গ্রিন এলাকায়।

প্রতিক্রিয়া

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করতে রাজি হননি গাজার হামাস নেতারা। তারা বলছেন, নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তারা।

যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, মৌলবাদী সংগঠনটির লক্ষ্য নিরীহ ইসরায়েলিরা। তারা ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে চায়।

এই সিদ্ধান্তকে তেল আবিব-লন্ডনের যৌথ উদ্যোগের প্রতিফলন বলছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড।

হামাস কারা

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে ১৯৮৭ সালে গঠন হয় হামাস। গাজাভিত্তিক সংগঠনটি ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয় পায়। নিয়ন্ত্রণে নেয় গাজা উপত্যকার।

চলতি বছরের মে মাসে হামাস দমনে গাজায় ১১ দিনের অভিযান চালায় ইসরায়েল। এতে নিহত হন ৬৬ শিশুসহ কমপক্ষে ২৫০ ফিলিস্তিনি।

পরে তেল আবিব দাবি করে, অভিযানের সময় হামাসের পাল্টা হামলায় দুই শিশুসহ ১৩ ইসরায়েলির প্রাণহানি হয়েছিল।

এর আগে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইসরায়েল।

এ বিভাগের আরো খবর