এবার বিজেপি দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আগরতলা পুরভোটের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ সরকারের ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিবাদে আগরতলায় মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে টুইট করে অভিযোগ করা হয়, ‘দলের পতাকা হাতে ত্রিপুরাজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিজেপির দুষ্কৃতকারীরা। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ সরকারের ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়েছে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী। ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থানে শাসক দল যে কতটা শঙ্কিত তার প্রমাণ এই বর্বরোচিত হামলা।’
বিজেপির এমন হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিবি মোড় পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। জিবি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিজেপির হামলায় গুরুতর জখম তৃণমূল প্রার্থীসহ দলের কর্মীরাও। এই ঘটনায় আগরতলা থানায় অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
একইভাবে বুধবারও বিজেপির হাতে তেলিয়ামুড়ায় আক্রান্ত হন তৃণমূল কর্মীরা। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কুহেলি দাসের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
ত্রিপুরায় সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অবাধ নির্বাচনি প্রচারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কোনো কার্যকারিতা দেখা যাচ্ছে না বিপ্লব দেবের প্রশাসনে।
ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আসিস লাল সিংহ বলেন, ‘ত্রিপুরাজুড়ে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। যেসব ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীরা বিজেপি প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলতে পারেন, সেসব প্রার্থীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা করা হচ্ছে।’
তবে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আগামী ১৫ নভেম্বর ১৪টি পৌরসভা ও ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট হবে। এই প্রথমবার ত্রিপুরার পুরভোটে তৃণমূল অলআউট ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ফলাফল ঘোষণা ২৮ নভেম্বর। লক্ষ্য ২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা।