চীন-ভুটান সীমান্ত এলাকায় ভুটানের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে এবং ভূমি দখল করে গত এক বছরে চারটি গ্রাম তৈরি করেছে বেইজিং। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত নতুন ছবিতে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
ভুটানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় ভারত সরকার নিজেদের দায়বদ্ধ মনে করে বলে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে নয়া দিল্লি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের সামরিক উন্নয়নবিষয়ক প্রখ্যাত স্যাটেলাইট ছবি বিশেষজ্ঞ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন।
ছবিযুক্ত পোস্টটিতে বলা হয়, গত এক বছরে ভুটান সীমান্তের ভেতরে একাধিক চীনা গ্রাম ও বসতি নির্মাণের বিষয়টি স্পষ্ট। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে গ্রামগুলোর অবস্থান।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে কর্মরত এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের প্রকাশ করা ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে আরও জানা যায়, ভুটান সীমান্তের ভেতরে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত সম্প্রসারিত এসব গ্রাম।
বিতর্কিত ডোকলাম মালভূমি অঞ্চলের খুব কাছে অবস্থিত গ্রামগুলো। ২০১৭ সালে এই ডোকলামেই সামরিক বিবাদে জড়িয়েছিল চীন ও ভারত। আর নতুন গ্রামগুলো নির্মাণ করা হয়েছে ২০২০ সালের মে থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সময়জুড়ে।
গত বছর ডোকলামের কাছে একটি গ্রাম নির্মাণের কাজ চলছে বলে খবর প্রকাশ করেছিল ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
ডোকলামের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব মূলত চীন ও ভুটানের। ভারত অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ দাবি না করলেও এ বিষয়ে ভুটানের প্রতি সমর্থন দেশটির। ডোকলামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সীমিত উপস্থিতিও রয়েছে।
চীন-ভারত সামরিক উত্তেজনার পর থেকে চার বছর আগে ডোকলামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিকে উপেক্ষা করে যাচ্ছে চীন; বিতর্কিত ভূখণ্ডে জারি রেখেছে সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম। বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত নয়া দিল্লি-বেইজিং কূটনীতিও।
এর মধ্যে ভুটানের মাটিতে চীনের নতুন নির্মাণকাজ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে ভারত সরকারের। ভুটানের পররাষ্ট্রীয় সম্পর্কবিষয়ক নীতি নিয়ে পরামর্শ ও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ভারতের।
স্থল সীমান্ত পুনর্নির্ধারণে নতুন করে আলোচনায় বসার জন্য ভুটান সরকারকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছে চীন। যদিও চীন-ভুটান সীমান্ত নির্ধারণে সত্যিকার অর্থে স্পষ্ট কোনো চুক্তি কোনো দিনই চূড়ান্ত ছিল না।