বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সু চির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নতুন অভিযোগ গঠন

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ০৮:৫৯

গ্রেপ্তারের পর থেকে সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ গঠন করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন, দুর্নীতি, অবৈধ ওয়াকিটকি আমদানি ইত্যাদি। এসব মামলায় সু চি আদালতে হাজিরা দিলেও তাকে প্রকাশ্যে আনেনি সেনাবাহিনী। রুদ্ধদ্বার শুনানিতে অংশ নেয়া সু চির বক্তব্যেরও খুব অল্প অংশই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতির নতুন অভিযোগ গঠন করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। যোগ করা হয়েছে বিধিবহির্ভূত পদক্ষেপ নেয়ার অভিযোগও।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সু চির পাশাপাশি ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও রাজধানী নেইপিদোর সাবেক মেয়র মিও অংসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার অভিযোগ গঠন করা হয়।

চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটে। এর আগেই গ্রেপ্তার করা হয় ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে। এরপর আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাকে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বিবিসিকে জানিয়েছেন, গৃহবন্দি সু চির সঙ্গে বেশ ভালো ব্যবহারই করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘গৃহবন্দি করা হলেও তিনি একা নেই। বরং একই বাড়িতে আপনজনদের সঙ্গেই সু চিকে থাকতে দিয়েছি আমরা। তিনি যাই চান কিংবা যা কিছু খেতে চান, তার সব ইচ্ছা পূরণ করে তাকে ভালো রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমরা।’

কিন্তু সু চির আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুলতে আইনজীবীদের কঠোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছে সামরিক জান্তা। সু চির সঙ্গে দেখা করতে চাওয়া জাতিসংঘের কর্মকর্তাদেরও দেশে ঢুকতে দেয়া হয়নি।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য হতে পারে। কিন্তু বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মিয়ানমারে প্রবেশাধিকার চেয়ে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন জাতিসংঘের দূতরা।

এ বিষয়ে মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, ‘সঠিক সময় আসেনি, তাই তাদের এখন অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। তাদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত হতে পারি না… মিয়ানমার সম্পর্কে তাদের যেসব বক্তব্য, সেগুলোও গঠনমূলক নয়।’

তিনি জানান, আগে মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে জাতিসংঘের।

২০২০ সালের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সু চির দল নিরঙ্কুশ জয় অর্জন করে। এরপরই ভোট কারচুপির অভিযোগে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী।

স্বাধীন নির্বাচনি পর্যবেক্ষকদের মতে, নির্বাচনের বড় অংশ অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল। সু চির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও মনে করেন তারা।

গ্রেপ্তারের পর থেকে সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ গঠন করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন, দুর্নীতি, অবৈধ ওয়াকিটকি আমদানি ইত্যাদি।

এসব মামলায় সু চি আদালতে হাজিরা দিলেও তাকে প্রকাশ্যে আনেনি সেনাবাহিনী। রুদ্ধদ্বার শুনানিতে অংশ নেয়া সু চির বক্তব্যেরও খুব অল্প অংশই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর