বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাইওয়ানের স্বাধীনতা ‘আগুন নিয়ে খেলা’, বাইডেনকে শির হুঁশিয়ারি

  •    
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৩:৪২

তাইওয়ান ইস্যুতে খানিকটা কঠোর শব্দবিনিময় করলেও বাইডেন ও চিনপিংয়ের আলোচনার শুরুটা উষ্ণই ছিল। তিব্বত, শিনজিয়াং প্রদেশ ও অধিকৃত হংকংয়ে চীনা সরকারের আচরণের মতো বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেছেন দুই নেতা। কথা বলেছেন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, জলবায়ু সংকট নিরসনে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়েও। তবে এসব বিষয়ে আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।

তাইওয়ানকে স্বাধীনতা অর্জনে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করলে তা হবে ‘আগুন নিয়ে খেলা’র শামিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রথম ভার্চুয়াল বৈঠকে সোমবার এ কথা বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং।

তিনি আরও বলেন, ‘যেই আগুন নিয়ে খেলবে, পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।’

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জবাবে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা পরিবর্তনে বা তাইওয়ানের শান্তি নষ্টে চীনের ‘একতরফা প্রচেষ্টা’র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বলে উল্লেখ করেছেন বাইডেন।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, বেইজিংয়ের ‘এক চীন নীতি’র প্রতি যুক্তরাষ্ট্র শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলেও জোর দিয়েছেন বাইডেন। কিন্তু তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে স্থিতিশীলতা ও শান্তি লাঘব হয়, কিংবা স্থিতাবস্থা বদলে যায়- চীনের এমন যে কোনো একতরফা পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও অবস্থান নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

এক চীন নীতি চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভিত্তি বলে মনে করা হয়। এ নীতির আওতায় তাইওয়ান দ্বীপের পরিবর্তে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্কে যুক্ত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন অংশ এবং অদূর ভবিষ্যতে চীনের মূল ভূখণ্ডের তাইওয়ানও যুক্ত হবে বলে বলে মনে করে বেইজিং।

এ অবস্থায় চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এক চীন নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার কথা বললেও তাইওয়ান ইস্যুসংক্রান্ত একটি আইনও মেনে চলে। আইনটিতে বলা আছে, কোনো ধরনের হামলার মুখে তাইওয়ানকে আত্মরক্ষায় সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

গত মাসেও বাইডেন বলেছেন যে চীন যদি হামলা চালায়, তাহলে তাইওয়ান দ্বীপের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। বক্তব্যটি ‘কৌশলগত কারণে অস্পষ্ট অবস্থান রক্ষায়’ যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ পররাষ্ট্রীয় আচরণের সঙ্গে স্পষ্টতই সাংঘর্ষিক ছিল।

কাজের সঙ্গে ওয়াশিংটনের ‘অস্পষ্ট অবস্থানে থাকার কৌশলী আচরণ’-এর পার্থক্যকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনিশ্চিত আচরণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

তাইওয়ান ইস্যুতে খানিকটা কঠোর শব্দবিনিময় করলেও বাইডেন ও চিনপিংয়ের আলোচনার শুরুটা উষ্ণই ছিল। ‘পুরোনো বন্ধু’ বাইডেনকে দেখে খুশি বলে জানান চিনপিং।

জবাবে বাইডেন বলেন, ‘আমি ও আপনি পরস্পরের সঙ্গে কখনো তেমন আনুষ্ঠানিকতা পালন না করলেও আমার কথার শুরুটা মনে হয় নিয়মমাফিকই হওয়া উচিত।’

তিব্বত, শিনজিয়াং প্রদেশ ও অধিকৃত হংকংয়ে চীনা সরকারের আচরণের মতো বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেছেন দুই নেতা। কথা বলেছেন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, জলবায়ু সংকট নিরসনে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়েও। তবে এসব বিষয়ে আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর তাদের মধ্যে এত বিশদ আলোচনা এটাই প্রথম। ১০ মাসে এ নিয়ে মোট তিনবার কথা বলেছেন তারা।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের ২৬তম জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে বিরল মতৈক্যের ঘোষণা দিয়ে বিশ্বকে একরকম চমকে দেয় চিরবৈরী যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।

বাইডেনসহ বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এতে উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না চিনপিং। করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন প্রায় দুই বছর ধরে দেশের বাইরে কোনো সফর করেননি চীনা রাষ্ট্রপ্রধান।

এ বিভাগের আরো খবর