বায়ুদূষণের ফলে দৃষ্টিসীমা কমে আসা, দূষণে শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। দূষণ রোধে সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে এরই মধ্যে উষ্মা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধান বিচারপতি।
এবার শহরটিতে লকডাউনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। সোমবার থেকে দিল্লিতে লকডাউন দিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে উচ্চ আদালতে পরিকল্পনার কথা জানাবে সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রোববারও দিল্লির বাতাসের কোয়ালিটি ছিল অসহনীয়; যাকে বলা হয় ‘ভেরি পুওর’। এমন অবস্থা মোকাবিলায় শহরের পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই উচ্চ আদালতে নিজেদের পরিকল্পনা জমা দেয়ার কথা জানান।
বায়ুদূষণের নাকাল দিল্লিতে এরই মধ্যে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রাস্তায় গাড়ি চলার ক্ষেত্রে হেডলাইট ব্যবহার, বাড়িতে থাকা অবস্থাতেও মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে দিল্লি সরকার।
জাতীয় রাজধানীতে রোববার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে বাতাসের মান ছিল ৩৩০, যা আগের দিন ছিল ৪৩৭। গত শুক্রবারও দিল্লিতে বাতাসের মান ছিল ৪৭১, যা গুরুতর হিসেবে বিবেচিত।
বাতাসের মান এমন অবস্থা হওয়ার কারণ হিসেবে অনেকেই শুধু হরিয়ানা, পাঞ্জাব রাজ্যে ফসলের গোড়া পোড়ানোকে দায়ী করছেন।
বায়ুদূষণের জন্য শুধু কৃষকদের দায়ী করায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তিনি সরকারের সলিসিটরের কাছে জানতে চান, বারবার কৃষকদের বায়ুদূষণের জন্য দায়ী কেন করা হচ্ছে? শুধু কী তারাই এই দূষণের জন্য দায়ী?
সোমবার বাতাসের মানে দিল্লির গাজিয়াবাদ ৩৩১, গুরগাঁও ২৮৭, নয়ডা ৩২১, ফরিদাবাদ ২৯৮ এবং গ্রেটার নয়ডার অবস্থান ৩১০।
সাধারণত এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ১ থেকে ৫০ অবস্থানে থাকা এলাকাকে ভালো বলা হয়। ১০০ পর্যন্ত সন্তোষজনক, ১০১-২০০ মাঝারি, ২০১-৩০০ খারাপ, ৪০০ পর্যন্ত বেশি খারাপ এবং ৫০০ মাত্রার ওপরে উঠলে সেটাকে বলা হয় গুরুতর।