স্বেচ্ছায় রাজকীয় মর্যাদা ত্যাগের পর দেশও ছাড়লেন জাপানের সাবেক রাজকন্যা মাকো। ভালোবেসে বিয়ে করে বিশ্বের আরেক প্রান্তের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।
রাজপরিবারের সদস্য হয়ে সাধারণ পরিবারের ছেলেকে বিয়ে করেছেন। ভালোবাসার টানে রাজপ্রাসাদ ছেড়ে স্বামীর সঙ্গে নতুন ঘর বেঁধেছেন নিউ ইয়র্কে এক কামরার ভাড়া বাড়িতে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্বামী কেই কোমুরোর সঙ্গে স্থানীয় সময় রোববার সকালে টোকিও বিমানবন্দর থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেন মাকো। নিউ ইয়র্কে একটি আইনি পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন পেশায় আইনজীবী কেই কোমুরো।
গত মাসে নিতান্ত সাদামাটাভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন মাকো-কেই কোমুরো। ছিল না রাজপরিবারের জাঁকজমক আয়োজন বা রাজকীয় রীতিনীতির কিছুই। দেশ ছাড়ার সময়ও নবদম্পতিকে আড়ম্বরবিহীন বিদায় জানান তাদের কলেজে পড়ার সময়ের কয়েকজন বন্ধু।
জাপানের আইন অনুযায়ী, রাজপরিবারের কোনো নারী সদস্য সাধারণ পরিবারের কাউকে বিয়ে করতে চাইলে তাকে রাজকীয় মর্যাদা ত্যাগ করতে হয়।
টোকিও বিমানবন্দরে নবদম্পতির নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর পুলিশি প্রহরা ছিল, জোরদার করা হয়েছিল বিমানবন্দরের নিরাপত্তাও। শতাধিক সংবাদকর্মীর সামনে দিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করলেও কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি মাকো ও কেই কোমুরো।
জাপানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে তাদের নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে পৌঁছাতে দেখা গেছে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হেঁটে গিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষমাণ গাড়িতে ওঠেন তারা।
নিজের নামের সঙ্গে স্বামীর নামের শেষাংশ যোগ করে রাজকন্যা মাকো এখন মাকো কোমুরো। নিউ ইয়র্কে কোমুরো দম্পতি ঘর বাঁধতে যাচ্ছেন বলে গুঞ্জন ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। শহরটিতে থাকার খরচ জোগাতে এখন কাজ খোঁজার চেষ্টা করছেন তারা।
গত মাসে জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, কেই কোমুরো নিউ ইয়র্কে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। তাই বর্তমানে আইনি পরামর্শদাতা একটি প্রতিষ্ঠানে সহকারী হিসেবে কাজ করছেন।
জাপানের সম্রাট নারুহিতোর ছোট ভাই ও সিংহাসনের উত্তরসূরি যুবরাজ আকিশিনোর প্রথম সন্তান ও বড় মেয়ে মাকো।