সাগরতীর পরিচ্ছন্ন রাখতে বছরে প্রায় দেড় লাখ ডলার খরচ করছে ডেনমার্কের স্লেইলসা পৌর কর্তৃপক্ষ। পর্যটকদের ফেলে যাওয়া বর্জ্য সপ্তাহে দুই দিন অপসারণ করেন পৌরকর্মীরা।
ফলে স্টিলিঙ্গার সৈকত গ্রীষ্মের উষ্ণ সময়েও থাকে ঝকঝকে-তকতকে। প্রচুর পর্যটকের সমাগম হলেও এই সৈকত দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই।
তবে ডেনমার্কস রেডিও (ডিআর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই সৈকতের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
ডিআর এর প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সৈকত থেকে বুলডোজারের মাধ্যমে বিভিন্ন বর্জ্যে সংগ্রহ করে সেগুলো ফেলা হচ্ছে সাগরের অগভীর অংশেই। এই কাজে বাংলাদেশি মুদ্রামানে বছরে ১ কোটি ২৮ লাখেরও বেশি টাকা খরচ দেখাচ্ছে স্লেইলসা নগর কর্তৃপক্ষ।
সৈকত পরিষ্কার রাখার নামে অর্থ ও পরিবেশ ধ্বংসের এমন ঘটনায় রীতিমতো হতাশ দেশটির বিশেষজ্ঞরা। ড্যানিশ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক টরকেল গিসেল নিলসেন বলছেন, এটা সম্পূর্ণ ‘মূর্খের মতো’ কাজ।
কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটির জৈবিক সমুদ্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্যাথরিন রিচার্ডসন বলেন, ‘অগভীর সাগরে ফেলা এসব অবশেষ আবার সৈকতে ভেসে আসছে, সেই সঙ্গে এটি সাগরের বাস্তুতন্ত্রের জন্যও ভয়াবহ ক্ষতিকর। এ কাজটি কেবল সৈকত ভ্রমণকারীদের সুবিধা দিতেই করা হচ্ছে।’
এ ধরনের কাজের পক্ষে অবশ্য সাফাই গেয়েছেন পৌরসভার ডেপুটি মেয়র ভিলুম ক্রিস্টেনসেন। তার যুক্তি, সৈকতে ভ্রমণকারীরা দক্ষিণ ইউরোপের ছুটির গন্তব্যগুলোর মতোই ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন’ পরিবেশ দেখতে চান।
ক্রিস্টেনসেনের দাবি, তারা প্লাস্টিকের বড় টুকরো কখনোই সাগরে ফেলেন না, শুধু সিগারেটের অবশেষ ও প্লাস্টিকের ছোট টুকরা সেখানে ফেলা হয়। আর এই ছোট অবশেষ সাগরের তেমন ক্ষতি করে না।