কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি ও তাদের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসকে হিন্দুধর্মের সঙ্গে হিন্দুত্ববাদকে না গুলানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘হিন্দুধর্ম থেকে আলাদা হিন্দুত্ব।’
মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় সেবাগ্রাম আশ্রমে কংগ্রেসের জাতীয় ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্পের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভার্চুয়াল ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘হিন্দু ধর্ম কি একজন শিখ বা মুসলমানকে মারধর করা? আখলাককে হত্যা করা কি হিন্দু ধর্ম? এটা কোন বইয়ে লেখা? আমি এটা দেখিনি। আমি উপনিষদ পড়েছি, সেখানে দেখিনি। একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করার কথা কোথায় লেখা আছে? আমি এটি কোনো হিন্দু ধর্মগ্রন্থ, এমনকি ইসলাম বা শিখ ধর্মগ্রন্থেও খুঁজে পাইনি। কিন্তু আমি এটা হিন্দুত্বে দেখতে পাচ্ছি।’
কংগ্রেসের সাম্প্রতিক বিপর্যয় সম্পর্কে রাহুল বলেন , ‘আজ, আমরা এটি পছন্দ করি বা না করি, আরএসএস এবং বিজেপির বিভেদমূলক এবং ঘৃণ্য আক্রমণাত্মক প্রচারের ছায়ায় কংগ্রেসের প্রেমময় জাতীয়তাবাদ আদর্শ ঢাকা পড়ে গেছে। এই বাস্তব আমাদের মেনে নিতে হবে।
‘কিন্তু আমাদের আদর্শ জীবন্ত, প্রাণবন্ত। আমাদের নিজেদের লোকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং কংগ্রেসের সদস্য হওয়ার অর্থ কী এবং আরএসএস সদস্য হওয়ার থেকে কীভাবে আলাদা তা নিয়ে কথোপকথনে মানুষকে জড়িত করে আমাদের আদর্শ প্রচার করতে হবে।’
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে রাহুল বলেন, ‘কংগ্রেসের ভেতরে সীমাহীন শক্তি রয়েছে। কংগ্রেস হিন্দুত্ব ও হিন্দুধর্মের মধ্যে পার্থক্য করতে জানে। কংগ্রেসের আদর্শ জীবিত ও প্রাণবন্ত রয়েছে। সেটা আরএসএস ও বিজেপির আদর্শকে হারিয়ে দিতে যথেষ্ট।
‘দলের চিন্তাধারাকে আরও উন্নত করা, দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা এবং সেই ভাবনা চিন্তাকে দলের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার ওপর জোর দিতে হবে।’
দেশের সব রাজ্যের কংগ্রেস প্রতিনিধিরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমের একটা বড় অংশ বিজেপির আদর্শকে দেশে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করছে। আমদের আদর্শ ঢাকা পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো, আমরা আমাদের সমর্থকদের মধ্যে কখনও হিংসাত্মক চিন্তাধারা প্রবেশ করতে দিইনি। আমাদের মানুষের কাছে গিয়ে দুই আদর্শের মধ্যেকার ফারাকটা বোঝাতে হবে।’