বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিয়ালের বিরুদ্ধে বিধানসভায় অভিযোগ

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২১ ২০:৫০

পশ্চিমবঙ্গের মালদায় শিয়ালের দলবদ্ধ আক্রমণে ৪০ জনের বেশি গ্রামবাসী আহত হন। হাসপাতালে যেতে হয় ২০ জনকে। প্রতিকার চেয়ে বিধানসভায় অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদায় শিয়ালের হামলার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য বিধানসভায়। ঘটনাস্থল হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল বিধায়ক তাজমুল হোসেন এই অভিযোগ জানিয়ে শিয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

বিধায়ক তাজমুল হোসেন বলেন, 'মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরে। আমি আরও বেশি করে টিকা পাঠানোর কথা বলেছি। আর শিয়ালের হানা ঠেকাতে যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়, তার জন্য আবেদন জানিয়েছি। স্থানীয় মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে আছে। কেউ ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না।’

বৃহস্পতিবার ভোরে হরিশ্চন্দ্রপুরের ২ নম্বর ব্লকের হরদমনগর গ্রামে ২০-২২টি শিয়ালের একটি দল আচমকা গ্রামবাসীর ওপর আক্রমণ করে। এ ঘটনায় ৪০ জনের বেশি গ্রামবাসী আহত হন। তাদের মধ্যে ২০ জনকে হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ১০ জনকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

স্থানীয় সিভিল পুলিশ সিদ্ধার্থ শংকর দাস বলেন, ‘তখন ভোর পৌনে ৪টা। অন্যান্য দিনের মতো গ্রামবাসী প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছেন। তখনই গ্রামের ভেতরে শিয়ালের পাল হামলা চালায়। একজনের হাতের আঙুল খোয়া গেছে। দু-একজনকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে শিয়ালের দল। শিয়ালের হামলা আগেও হয়েছে। তবে দলবদ্ধভাবে একযোগে এমন হামলা হয়নি। আমরা চাই বন দপ্তর শিয়াল ইস্যুতে কার্যকর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই গ্রামের কৃষিজমিতে দু-একটি করে শিয়াল দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে শিয়ালের দল আচমকা গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। ওই সময়টাতে কেউ প্রাতর্ভ্রমণে, কেউবা কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন। কেউ কেউ বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। শিয়ালের দল আঁচড়ে ও কামড়ে কারও আঙুল আবার কারও কারও শরীরের বিভিন্ন স্থানের মাংস তুলে নেয়। এরপর গ্রামবাসী তিনটি শিয়ালকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নিতাই মণ্ডল বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে মানুষ বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছে। ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করতে বাইরে যেতে পারছে না। গ্রামজুড়ে আতঙ্ক। মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে দিন-রাত গ্রাম পাহারা দিচ্ছে। প্রশাসনের কাছে দাবি, এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক।’

এ বিভাগের আরো খবর