বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হামলা থেকে বাঁচতে গুলি করার দাবি বিএসএফের

  •    
  • ১২ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:৩৭

বিএসএফের দাবি, ভোরে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সিতাই থানার সাতভান্ডারী সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা করছিলেন এক ভারতীয়। গরুগুলোকে কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি জওয়ানদের নজরে এলে তারা বাধা দেন। পরে নন-লিথেল অস্ত্র দিয়ে পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার সীমান্তে গরু পাচারকারী সন্দেহে বাধা দিলে পাচারকারীরা ইট, লাঠি, দা নিয়ে আক্রমণ করার পরই গুলি করে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

গুলিতে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে এক ভারতীয় ও বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের কালীগঞ্জ সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার সকালের ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফের কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও নিউজবাংলার কলকাতা প্রতিনিধি বিএসএফের বরাতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গুলিতে ভারতীয় নাগরিক নিহতের ঘটনায় কোচবিহার সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়।

বিএসএফের জনসংযোগ কর্মকর্তা কৃষ্ণ রাও বলেন, ভোরে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সিতাই থানার সাতভান্ডারী সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা করছিলেন এক ভারতীয়। গরুগুলোকে কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি জওয়ানদের নজরে এলে তারা বাধা দেন। পরে নন-লিথেল অস্ত্র দিয়ে পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়।

বিএসএফের অভিযোগ, বাধা পেয়ে পাচারকারীরা তাদের ওপর ইট, লাঠি, দা নিয়ে আক্রমণ করলে বিএসএফ পাল্টা গুলি চালায়। গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃত ভারতীয়ের দেহ পড়ে ছিল কোচবিহার প্রান্তে। আর দুই বাংলাদেশির দেহ পড়ে ছিল লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ সীমান্তে।

সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দিনহাটা এবং সিতাই থানার পুলিশ কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার নিন্দা করেছেন সিতাইয়ের সংসদ সদস্য জগদীশ বর্মণ বসুনিয়া। তিনি বলেন, ‘এই এলাকা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের পণ্য পাচার হয়। বিএসএফের অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। জওয়ানরা পায়ে গুলি করতে পারতেন। রাবার বুলেট ব্যবহার করতে পারতেন। কিন্তু এভাবে সরাসরি গুলি চালানোয় বিএসএফ ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।’

শুক্রবার কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা। বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধিসহ একাধিক বিষয় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা, ডিজি মনোজ মালব্যের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

সীমান্তবর্তী জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও তার বৈঠকের কথা রয়েছে।

বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে অসন্তুষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগে বিএসএফের হাতে ছিল ১৫ কিলোমিটার ছিল। এখন বলছেন ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওরা ঘুরতে পারবে। এর মানেটা কী?’

মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিএসএফের বিরোধী নন তিনি। যারা রাজনৈতিক কারণে সীমান্তকে অশান্ত করতে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ। তার অভিযোগ, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন্দ্র এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১১ অক্টোবর একটি নির্দেশিকা জারি করে জানায়, রাজ্যগুলোর আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে দেশের ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের এলাকা বাড়ানো হয়েছে। আগে যা ছিল ১৫ কিলোমিটার। বিএসএফ এই বর্ধিত এলাকায় তার কাজ করতে পারবে। ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দেশের ভেতরের ভূখণ্ডে ঢুকে কোনো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার, আটক এবং যেকোনো প্রকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে পারবে বিএসএফ। তৃণমূলের অভিযোগ, ঘুরপথে রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর