চীনের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এবং কম্যুনিস্ট পার্টির জাঁদরেল নেতা ঝেং গাওলির বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন দেশটির জনপ্রিয় টেনিস তারকা পেং শুয়াই। কিন্তু এই অভিযোগ তোলার এক সপ্তাহ পর তার আর কোনো হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের এক খবরে এমন দাবি করা হয়েছে।
গত ৫ নভেম্বর চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে পেং শুয়াই অভিযোগ করেন, ৭৫ বছর বয়সী ঝেং গাওলি কয়েক বছর আগে জোর করে তার সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন। তবে শুয়াই-এর পোস্টটি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ওয়েইবো থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
কিছুদিন ধরেই চীনে ‘মি-টু’ আন্দোলন শুরু হয়েছে। চীনা নারীরা তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়নের গোমর ফাঁস করে দিচ্ছেন। তবে, চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির শীর্ষ কোনো রাজনীতিকের বিরুদ্ধে এবারই প্রথম এ ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।
সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ঝেং গাওলি চীনের ক্ষমতাসীন কম্যুনিস্ট পার্টির অন্যতম পলিটব্যুরো সদস্য ছিলেন।
নিজের পোস্টে পেং শুয়াই দাবি করেন, ২০১১ সালের শেষের দিকে বন্দরনগরী তিয়ানজিনে পরিচয়ের পর বিবাহিত ঝেং গাওলির সঙ্গে তার প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেবার গাওলির সঙ্গে তিনি একবার সঙ্গমেও লিপ্ত হয়েছিলেন।
কিন্তু কম্যুনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য হওয়ার পর পেং শুয়াইয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন গাওলি।
২০১৮ সালে রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার পর গাওলির মধ্যে আবারও পুরনো প্রেম জেগে ওঠে। এ সময় শুয়াইকে তিনি একবার ডিনারের নিমন্ত্রণ জানান। কিন্তু ডিনারের পর শুয়াইয়ের অনিচ্ছা এবং কান্নাকাটি সত্ত্বেও জোর করে সঙ্গম করেন গাওলি।
এ বিষয়ে পেং শুয়াই উইবোতে লিখেন, ‘ওই দিন বিকেলে আমি বাধ্য হয়েছিলাম। কান্না থামাতে পারছিলাম না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই এবং এর কোনো প্রমাণ রেখে যাওয়া অসম্ভব। আপনার ভয় ছিল- আমি হয়তো প্রমাণের জন্য কোনো টেপ রেকর্ডার বের করব। কিন্তু আমার কাছে অডিও রেকর্ড বা ভিডিও ফুটেজ নেই। আছে শুধু বিকৃত কিন্তু সত্যিকার এক অভিজ্ঞতা।’
টেনিস ক্যারিয়ারে পেং শুয়াই দুবার উইমেন ডাবলসে গ্রান্ড স্ল্যাম জিতেছেন। প্রথমবার ২০১৩ সালে উইম্বলডনে এবং দ্বিতীয়বার ২০১৪ সালে রোল্যান্ড গ্যারস টুর্নামেন্টে। দুবারই তাঁর গ্রান্ড স্ল্যাম জয়ের সঙ্গী ছিলেন তাইওয়ানের জনপ্রিয় টেনিস তারকা সেই সু-ওয়েই।