বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা তীব্র হয়েছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত বাড়তে থাকায় ‘গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়া অঞ্চলে সেনাবাহিনী প্রবেশ করার পর রাখাইনে সহিংসতা রক্তক্ষয়ী রূপ নেয়। এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে সংঘাত বন্ধে ও বেসামরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বিভিন্ন খবরে বলা হয়, রাখাইনের অন্যতম বড় একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাত চলছে সেনাবাহিনীর।
বিদ্রোহী বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে একটি অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা চলছিল। সংঘাতের ফলে ভেঙে পড়েছে সে অস্ত্রবিরতি।
হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক নৈরাজ্য চলছে। সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভাকারীদের দমন, হাজারো মানুষকে হত্যা ও সাড়ে সাত হাজার মানুষকে কারাবন্দি করে রেখেছে শাসকদল।
একই সঙ্গে সীমান্তের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে সশস্ত্র আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর ওপরেও চড়াও হয়েছে সেনাবাহিনী।
অথচ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের কয়েক দিন পরই আরাকান আর্মির সঙ্গে অস্ত্রবিরতি রক্ষার আশ্বাস দিয়েছিল জান্তা সরকার। রাখাইন রাজ্যে আদিবাসী রাখাইন গোষ্ঠীর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে রক্তক্ষয়ী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আরাকান আর্মি।
বর্তমান পরিস্থিতি অঞ্চলটিতে রোহিঙ্গা মুসলিমদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে এবং স্থায়ী প্রত্যাবাসন ও অভ্যন্তরীণ শরণার্থীদের পুনর্বাসনের পথে বড় বাধা বলে সতর্ক করেছে নিরাপত্তা পরিষদ।
বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমরা। ভয়াবহ সেনা নিপীড়নের মুখে ভিটেমাটি থেকে উৎখাত ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত।