জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে দেয়া সহায়তা আরও বাড়াতে হবে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় এমন লক্ষ্যকে সামনে রেখে জলবায়ু সম্মেলনের এ বছরের চুক্তির খসড়া বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলনের এই পর্বের (কপ-২৬) খসড়ায় আরও বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে কার্বন নির্গমনকে কঠোরভাবে কমিয়ে আনতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
খসড়ায় বলা হয়েছে, অংশগ্রহণকারী দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার পরিমাণকে আরও বাড়াতে একমত হয়েছে।
তবে কীভাবে এই সহায়তা বাড়াতে হবে সে বিষয়টি খসড়ায় স্পষ্ট করা হয়নি।
চুক্তির খসড়ায় বলা হয়, অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে আগামী বছরের শেষ নাগাদ কার্বন নির্গমনের মাত্রা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত পত্র জমা দিতে হবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা এক দশমিক ৫ শতাংশের নীচে রাখতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে ৪৫ শতাংশ।
সমালোচকরা বলেছেন খসড়া চুক্তিটি যথেষ্ট ও কার্যকর পরিবর্তনের বার্তা আনতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে অন্যরা এই খসড়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা এক দশমিক ৫ এর নীচে রাখার লক্ষ্যমাত্রাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
কপ-২৬ সম্মেলনের শেষ দিন শুক্রবার এই খসড়া চুক্তি অনুমোদন পেতে পারে। শেষ সময়ে খসড়া চুক্তিটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পাওয়ার লক্ষ্য নিরলস কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সম্মেলনে অংশ নেয়া দুই শতাধিক দেশের প্রতিনিধিরা।
খসড়ায় বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, কৃষিকাজের ধরন ও নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলার কারণে রোগ সংক্রমণের পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ছে। প্রকৃতির ওপর মানুষের অত্যাচার আর আগ্রাসনের ফলে সংক্রমক রোগ এখন প্রাণী থেকে প্রাণীতে ছড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রাণী থেকে রোগ মানুষেও সংক্রমিত হচ্ছে।