২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তৃণমূলের পাখির চোখ এখন রাজ্যটির পুরভোটে। এ জন্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের ৯ জন নেতাকে এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব দিয়ে ত্রিপুরা পাঠিয়েছেন এবং নিজেও পুরভোটের শেষবেলার প্রচারে অংশ নিতে ত্রিপুরা যাবেন বলে তৃলমূল সূত্র জানিয়েছে।
বুধবার সকালের বিমানে কলকাতা থেকে ৫ বিধায়ক সহ ৯ তৃণমূল নেতা ত্রিপুরা পৌঁছেছেন। পুরভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তারা ত্রিপুরায় থাকবেন।
২৫ নভেম্বর ত্রিপুরার ১৩টি পুরসভা ও ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট হবে। ৩২৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হবে। ফল ঘোষণা হবে ২৮ নভেম্বর।
এই প্রথম ত্রিপুরার পুরভোটে অংশ নিয়ে ৫১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেয় বিজেপি কর্মীরা। জমা দেয়া মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে হুমকিও দেয়া হয়েছে একাধিক প্রার্থীকে। এমনকি মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকর্মী অপহরণের অভিযোগও উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ২৩ নভেম্বর ত্রিপুরার পুরসভা ভোটের প্রচার শেষ হবে। তার আগে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে ২২ নভেম্বর শেষ প্রচারে অংশ নিতে ত্রিপুরা যেতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা আশিষ লাল সিংহ এ বিষয়ে বলেন, ‘কলকাতার নেতাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে আমরা পুর ভোটের লড়াই করব।’
এদিকে, ত্রিপুরা পুরভোটে বিজেপির প্রচারে অংশ নিতে ২১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ত্রিপুরা যেতে পারেন। ফলে আসন্ন পুরভোটকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের মত বিজেপি-তৃণমূল লড়াই জমবে এবার ত্রিপুরায়।