বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬ মাস পর ডায়াপার পরে পৃথিবীতে ৪ নভোচারী

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:১৭

বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় তাদের বহনকারী ক্যাপসুলটির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৩৫৯ কিলোমিটার। বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে ক্যাপসুলের বাইরে সাড়ে তিন হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপ সৃষ্টি হয়েছিল। চারটি প্যারাশুট দিয়ে ক্যাপসুলটির গতি ঘণ্টায় ২৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হয়। তারপর শান্ত সাগরে অবতরণ করে এনডেভার।

মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্টেশনে (আইএসএস) দীর্ঘ ছয় মাস কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরেছেন চারজন নভোচারী। মহাকাশযান নির্মাতা ও মহাকাশযাত্রা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল সোমবার মেক্সিকো উপসাগরে অবতরণ করে।

ক্যাপসুলটির টয়লেট নষ্ট থাকায় চার নভোচারীকে মহাকাশে ব্যবহারযোগ্য বিশেষ ধরনের ডায়াপার পরে থাকতে হয়েছিল বেশ কয়েকদিন। সে অবস্থাতেই পৃথিবীতে ফিরেছেন তারা।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এনডেভার নামের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলটি ফ্লোরিডা উপকূলে নামে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে।

বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণের বিপজ্জনক সময়টি অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর মাধ্যাকর্ষণের কারণে প্রবল গতিতে ছুটে আসতে দেখা যায় এনডেভারকে।

সাগরে আছড়ে পড়ার কয়েক মিনিট আগে রাতের আকাশ চিড়ে উল্কার মতো ধেয়ে আসছিল ক্যাপসুলটি। তবে প্যারাশুটের সাহায্যে গতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিরাপদেই সাগর স্পর্শ করে এনডেভার।

এর মাধ্যমে শেষ হয় আইএসএসে নাসার ছয় মাসের অভিযান আর পৃথিবীর উদ্দেশ্যে নভোচারীদের আট ঘণ্টার ক্লান্তিকর যাত্রা।

আইএসএস থেকে রওনা দেয়ার পরও ভূপৃষ্ঠের ৪০০ কিলোমিটার উঁচু থেকে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছিলেন নভোচারীরা। বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় তাদের বহনকারী ক্যাপসুলটির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৩৫৯ কিলোমিটার।

বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণে ক্যাপসুলের বাইরে সাড়ে তিন হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে নভোচারীদের বিশেষ পোশাক ওই তাপমাত্রার উপযোগী বলে ওই মুহূর্তটিতেও সুরক্ষিত ছিলেন তারা।

এরপর চারটি প্যারাশুট দিয়ে ক্যাপসুলটির গতি ঘণ্টায় ২৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হয়। শান্ত সাগরে এনডেভার অবতরণ করার পর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে স্পেসএক্সের ফ্লাইট কন্ট্রোল সেন্টার।

নিরাপদ অবতরণ নিশ্চিতের পর লস অ্যাঞ্জেলেসে স্পেসএক্সের ফ্লাইট কন্ট্রোল সেন্টার থেকে বলতে শোনা যায়, ‘এনডেভারকে পৃথিবীর বুকে ফিরে আসার জন্য স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাচ্ছি।’

এক ঘণ্টার মধ্যেই চার নভোচারীর প্রত্যেককে ডাঙায় আনার উদ্দেশ্যে জাহাজে ওঠায় উদ্ধারকারী দল।

সদ্যসমাপ্ত মিশনে মহাকাশে ১৯৯ দিন কাটিয়েছেন চার নভোচারী। এদের মধ্যে দুইজন নাসার- মিশন কমান্ডার ৫৪ বছর বয়সী শেন কিমব্রো ও পাইলট ৫০ বছর বয়সী মেগান ম্যাকআর্থার। তাদের সঙ্গে ছিলেন জাপানি নভোচারী ও মহাকাশ গবেষণা বিশেষজ্ঞ ৫২ বছরের আকিহিকো হোশিদে ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ফরাসি প্রকৌশলী ৪৩ বছরের থমাস পেসকুয়েট।

ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে তাদের নিয়ে গত ২৩ এপ্রিল আইএসএসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল স্পেসএক্সের ফ্যালকন নাইন রকেট।

নাসা ও স্পেসএক্সের সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্বে এটি মহাকাশে তৃতীয় অভিযান, যেখানে নভোচারীরাও যোগ দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর