বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জিকার সংক্রমণে ভারতে এক শহরে সতর্কতা

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২১ ১০:৪৯

জিকার সংক্রমণের সঙ্গে শিশুদের মস্তিষ্ক অপরিণত থাকার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। জুলিয়ান-ব্যারে সিনড্রোম নামের একটি বিরল অটো-ইমিউন রোগেরও কারণ হতে পারে জিকা। তবে এ রোগে মৃত্যুর ঘটনা বিরল।

মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ভারতের একটি শহরে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। দেশটির সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্য উত্তর প্রদেশের কানপুরে জারি করা হয়েছে এ সতর্কতা।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, শহরটিতে ১৭ শিশুসহ কমপক্ষে ৮৯ জন জিকা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। রোগীদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও আছেন।

চলতি মৌসুমে কানপুরে প্রথম জিকার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত ২৩ অক্টোবর। উত্তর প্রদেশে জিকার সংক্রমণ শনাক্তের ঘটনা এটাই প্রথম।

কানপুরের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ড. নেপাল সিং জানিয়েছেন, শহরটিতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে জিকা আক্রান্তের সংখ্যা। বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নজরদারি বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, কানপুরে জিকার বিস্তার দ্রুত বাড়ছে। এ অবস্থায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতামূলক কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রশাসনকে।

তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। প্রতিটি রোগীর স্বাস্থ্য আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

ভারতে জিকার সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় ২০১৭ সালে, গুজরাটে। মূলত মশার মাধ্যমে রোগটি ছড়ালেও অনেক সময় যৌনবাহিতও হতে পারে ভাইরাসটি।

জিকার সংক্রমণের সঙ্গে শিশুদের মস্তিষ্ক অপরিণত থাকার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। জুলিয়ান-ব্যারে সিনড্রোম নামের একটি বিরল অটো-ইমিউন রোগেরও কারণ হতে পারে জিকা। তবে এ রোগে মৃত্যুর ঘটনা বিরল।

বিশ্বে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় ১৯৪৭ সালে, উগান্ডায়। তবে মানবদেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি প্রথম ধরা পড়ে ১৯৫৪ সালে। পরে আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশগুলোতে বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি।

২০১৫ সালে ব্রাজিলে এত দ্রুততায় জিকার সংক্রমণ বেড়ে যেতে শুরু করে যে সারা বিশ্বের জন্যই সে সময় বিষয়টি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চিকিৎসা নেই বলে আপাতদৃষ্টিতে মশা নিধনই জিকার বিস্তার রোধে একমাত্র উপায়।

জিকায় আক্রান্ত প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের দেহে রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। এসব উপসর্গের মধ্যে রয়েছে মৃদু জ্বর, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ও ফুলে ওঠা, মাথাব্যথা, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, ত্বকে ফুসকুড়ি ইত্যাদি।

এ বিভাগের আরো খবর