বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানবদেহে শূকরের অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে ধর্মীয় বিতর্ক

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:০৪

গবেষকদের কাছে শূকর প্রাধান্য পাচ্ছে বেশ কয়েকটি কারণে। এই প্রাণীটি তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে, ঘন ঘন শাবক জন্ম দেয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- আকার-আকৃতির দিক থেকে এদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতোই। তবে শূকরের অঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপন নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই।

মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনে আধুনিক বিজ্ঞানে বড় অবদান রাখছে জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশন। তবে এ চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে ধর্মবিশ্বাসীদের। বিশেষত অন্য প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিজ দেহে ধারণ নিয়ে মুসলিম বিশেষজ্ঞদের মধ্যে চলছে বিতর্ক।

জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশন হলো এমন এক ধরনের পদ্ধতি, যার মাধ্যমে অন্য প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, কোষ, টিস্যু বা দেহজ তরল মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা হয়।

সম্প্রতি প্রথমবারের মতো মানুষের দেহে শূকরের কিডনি সফলভাবে প্রতিস্থাপনে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকরা। জিনগতভাবে পরিবর্তিত একটি শূকরের কিডনি ব্যবহার করা হয়েছে এ কাজে।

টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশনের (টিআরটি) প্রতিবেদনে বলা হয়, একদিকে বিষয়টি চিকিৎসাবিজ্ঞানে মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত হচ্ছে; অন্যদিকে শূকরের অঙ্গ ব্যবহারে ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বর্ষপুরোনো বিতর্ক নতুন করে উসকে উঠেছে।

ইসলাম ও ইহুদি ধর্মে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে শূকরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।

আবার, ইনসুলিন থেকে শুরু করে হামের টিকা পর্যন্ত বিভিন্ন ওষুধে শূকরের দেহ থেকে সংগৃহীত নানা উপাদানের ব্যবহার রয়েছে। এমনকি ষাটের দশকে প্রথম অঙ্গ প্রতিস্থাপন শুরুর পর থেকে অনেক মুসলিমের হৃৎপিণ্ডকেই সচল রেখেছে শূকরের ভাল্ভ।

কাতারের হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটির ইসলাম ও জৈবচিকিৎসাবিষয়ক নীতিশাস্ত্রের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ঘালি বলেন, ‘মূলধারার ধর্মীয় শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিতেও কোনো বিকল্প না থাকলে শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবহারে মুসলিমদের বাধা নেই।

‘ইসলাম ধর্মে নির্দেশিত বিধানে বলা আছে, চিকিৎসার কারণে প্রয়োজন হলে নিষিদ্ধ বস্তুও অনুমোদনযোগ্য। কারণ ইসলামে মানুষের প্রাণ বাঁচানো ফরজ।’

মৃত্যুশয্যায় থাকা লাখো রোগীর প্রাণ বাঁচানোর সম্ভাব্য শেষ পথ অঙ্গ প্রতিস্থাপন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় আছেন এক লাখের বেশি রোগী। কিডনি ও যকৃতের জোগান না থাকায় বেশির ভাগই মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুনছেন।

এমন পরিস্থিতিতে সফল জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশন এখনও গবেষকদের কাছে অনেকটা এক মরীচিকার নাম। অন্য প্রাণীর আস্ত একটি অঙ্গ বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে মানবদেহে প্রতিস্থাপনের প্রথম চেষ্টার ৪০ বছর পেরিয়েছে, কিন্তু এখনও শতভাগ ক্ষেত্রে সাফল্য আসেনি।

অন্য প্রাণীর অঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপনে প্রথম বাধা হলো, গ্রহীতার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এই অঙ্গকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করে। এমনকি নতুন কোনো টিস্যু মানবদেহের সংস্পর্শে এলে নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথে ৫৪ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে একটি শূকরের কিডনি এক রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। শূকরের কিডনিগ্রহীতা একজন ‘ব্রেন-ডেড’ রোগী, অর্থাৎ যার মস্তিষ্ক কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। লাইফ সাপোর্ট থাকা ওই নারীর কিডনিও সম্প্রতি বিকল হতে বসেছিল।

তার দেহে শূকরের কিডনিটি যুক্ত করার পর কমপক্ষে তিন দিন কোনো ধরনের নেতিবাচক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি, চিকিৎসাবিজ্ঞানে যা নজিরবিহীন।

প্রতিস্থাপিত কিডনিটি যাতে রোগীর দেহ প্রত্যাখ্যান না করে, সেটি নিশ্চিতে জিনগতভাবে পরিবর্তিত একটি শূকরের অঙ্গ নেয়া হয়েছিল। ফলে ওই কিডনির টিস্যুতে তাৎক্ষণিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্র জীবাণুর উপস্থিতি ছিল না।

কেন শূকর? ছাগল বা ভেড়া নয় কেন?

জেনোট্রান্সপ্ল্যান্ট গবেষণার প্রায় শুরু থেকেই বিজ্ঞানীদের প্রথম পছন্দ শূকর।

ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড স্কুল অফ মেডিসিনের কার্ডিয়াক জেনোট্রান্সপ্ল্যান্টেশন প্রোগ্রামের পরিচালক ড. মুহাম্মদ মনসুর মহিউদ্দিন বলেন, ‘মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য শূকর একটি সমস্যা, কিন্তু বিশ্বের বাকিদের জন্য তা নয়। তারা শূকরের মাংস তো খাচ্ছেই।’

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মহিউদ্দিন দৈনন্দিন জীবনে ইসলামের অনুশাসন চর্চা করেন। জেনোট্রান্সপ্ল্যানটেশন খাতে পৃথিবীর খ্যাতিমান গবেষকদেরও তিনি একজন।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথে ড. মহিউদ্দিন ও তার সহকর্মীরা ২০১৪ সালে কয়েকটি বেবুনের দেহে শূকরের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন। এর মধ্যে একটি হৃৎপিণ্ড কার্যকর ছিল প্রায় তিন বছর।

ড. মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমরা শূকরের জিনোমের পরিপূর্ণ নকশা নির্ণয় করতে পেরেছি। একজন মানুষের সঙ্গে একটি শূকরের জৈবিক পার্থক্য আমরা জানি। শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের দেহের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কী কী পরিবর্তন আনা দরকার, তাও জানি। তবে গরু-ছাগলের দেহের জিনগত তথ্য আমাদের খুব একটা জানা নেই।’

মানুষ নয়, কিন্তু কাছাকাছি প্রজাতির- এমন প্রাণীর মধ্যে প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গ সংগ্রহের জন্য সবচেয়ে আদর্শ হলো গরিলা। জিনগত দিক থেকেও মানুষের সঙ্গে সবচেয়ে মিল এ প্রজাতির। বানরের ওপর সর্বাধুনিক জেনোট্রান্সপ্ল্যান্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষার অন্যতম কারণ এটি।

তবে বেবুন, গরিলা আর শিম্পাঞ্জি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী বলে এদের নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব নয়। করোনাভাইরাসের মতো প্রাণীদেহ থেকে মানুষে সংক্রমণযোগ্য ভাইরাসের কারণেও বেবুন, গরিলা আর শিম্পাঞ্জি উদ্বেগের কারণ।

এমন পরিস্থিতিতে গবেষকদের কাছে শূকর প্রাধান্য পায় বেশ কয়েকটি কারণে। এই প্রাণীটি তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে, ঘন ঘন শাবক জন্ম দেয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ- আকার-আকৃতির দিক থেকে এদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতোই।

ইসলামে শূকর নিকৃষ্ট প্রাণী

শূকরের হৃৎপিণ্ডের ভাল্ভ প্রতিস্থাপন বা অগ্ন্যাশয় থেকে সংগৃহীত উপাদান থেকে ওষুধ তৈরি একটি বিষয়, আর শূকরের আস্ত একটি প্রত্যঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপন ভিন্ন বিষয়। দ্বিতীয় বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই।

জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে মানবদেহের কিছু জেনেটিক উপাদান শূকরের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে বাস্তবতা হলো, এতে শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রূপ নেয় না, শূকরেরই থাকে।

এমন পরিস্থিতিতে মুসলিম বিশ্বের বড় অংশই স্বাভাবিক কারণেই স্বেচ্ছায় শূকরের অঙ্গ মানবদেহে প্রতিস্থাপনে আপত্তি জানাচ্ছে। তবে কারো জীবন ঝুঁকিতে থাকলে বাধ্য হয়ে স্বজনদের মত দেয়ার বিষয়টি একেবারেই আলাদা।

নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা গত মাসে সফল কিডনি প্রতিস্থাপনের ঘোষণা দেয়ার পরই মিসরের বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদরা বিষয়টির নিন্দা জানান। তাদের যুক্তি, শূকর ইসলামে নিষিদ্ধ।

১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে তখনকার ভারতীয় সৈনিকদের একাংশ বিদ্রোহ করেছিল। এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন মূলত মুসলিম পদাতিক সেনারা। লি-এনফিল্ড রাইফেলের কার্তুজ দাঁত দিয়ে কাটতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তারা, কারণ কার্তুজগুলো সিল করা থাকত শূকরের চর্বি দিয়ে।

এমনকি মুসলিম মা-বাবাদের আপত্তির কারণে শিশুদের জন্য নির্মিত পেপ্পা পিগ কার্টুনকে ঘিরেও তৈরি হয়েছিল তুমুল বিতর্ক।

মুসলিমদের স্বাস্থ্য বৈষম্য ও ইসলামিক জৈবনীতিশাস্ত্র বিষয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ ড. আসিম পাদেলা বলেন, ‘পবিত্র কোরআনে যে শূকরকে অপবিত্র বলা হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। বিতর্কের বিষয় হচ্ছে, কখন এটি নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু ইসলামে সবচেয়ে আগে এটি নিষিদ্ধ।

‘এটা অনেকটা ওয়াইনের মতো। অনাহারে মরতে বসার অবস্থা থাকলে তখন সামনে মদ থাকলে তা পান করে প্রাণ বাঁচানোর অনুমতি আছে, কিন্তু এটা ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি।’

ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি কোনগুলো, তা নিয়েও ইসলামিক বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে। কারণ, শূকরের দেহ থেকে সংগৃহীত উপাদানে তৈরি পণ্য ব্যবহার কিছু ক্ষেত্রে অনুমোদিত বলে অনেকে মনে করেন।

মিসরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা দার আল-ইফতা আল-মিসিরিয়াহ একটি ডিক্রি জারি করে বলেছে, শূকরের হৃৎপিণ্ডের ভাল্ভ রাসায়নিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হলে মানবদেহে প্রতিস্থাপন ইসলামের বিধিবহির্ভূত নয়। শূকরের মৌলিক উপাদানগুলো বদলে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত রূপান্তরের পর এর ভাল্ভ মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে।

ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইসলামে নিষিদ্ধ ওয়াইনকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে শরিয়তসম্মত ভিনেগার তৈরির উদাহরণ দেয়া হয়েছে ডিক্রিতে।

মুসলিম সম্প্রদায়ের দায় কতটা?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেনোট্রান্সপ্ল্যানটেশন গবেষণায় অঙ্গদাতা প্রাণী হিসেবে শূকর প্রাধান্য পাওয়ার কারণ পশ্চিমা বিশ্বে শূকরের মাংস খাওয়ায় কোনো বিধিনিষেধ নেই।

হামাদ বিন খলিফা ইউনিভার্সিটির ঘালি বলেন, ‘যদি আমি ইহুদি বা মুসলিম না হই, সে ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় শূকর ব্যবহার না করার কি কোনো কারণ আছে?

‘যদি এই বিজ্ঞানের জন্ম ইসলামি সভ্যতার স্বর্ণযুগে হতো এবং বিকাশ ঘটত, তাহলে শূকর নয়, অন্য কোনো প্রাণীই অগ্রাধিকার পেত।’

মুসলিম দেশগুলো নিজেদের জাতীয় বাজেটের খুব ক্ষুদ্র অংশ গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যবহার করে। এমনকি ধনী পশ্চিমা দেশগুলোর সমান মাথাপিছু আয় যেসব মুসলিম দেশের, তাদের ক্ষেত্রেও বাস্তবতা একই।

পাদেলার মতে, খুব প্রয়োজন হলেও শূকরের মাধ্যমে সংগৃহীত কাঁচামাল প্রক্রিয়াজাত করা ছাড়া ব্যবহার একজন আদর্শ মুসলিমের কাজ নয়।

তিনি বলেন, ‘পশ্চিমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে মুসলিম বিশ্ব ও মুসলিম শিক্ষাবিদরা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। অথচ বাস্তবতা হলো, আমরা বিনিয়োগ করছি না বলেই আমাদের হালাল গবেষণা বা শরিয়তসম্মত উন্নয়নকাঠামো নেই।’

আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতির উদ্ভাবকরাও অনেক সময় বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিশ্বাস বিবেচনায় নেন এবং নিজেদের উদ্ভাবনে তার ছাপও রাখেন।

উদাহরণ হিসেবে পাদেলা ‘জিহোভাহ’র উইটনেসেস’ নামের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের একটি গোত্রের কথা তুলে ধরেন। কয়েক লাখ অনুসারীর এই গোত্রটিতে ধর্মীয় কারণে রক্তদান নিষিদ্ধ। এ কারণে তাদের জন্য পুরোপুরি রক্তবিহীন পূর্ণাঙ্গ অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করা হয়েছে।

মুসলিম বিশ্বের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে পাদেলা বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ আমরা খরচ করি নতুন ভবন তৈরির পেছনে। অথচ আমাদের দরকার বিশাল এক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা। নিজেদের মূল্যবোধের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেন এই কাজটি আমরা করি না?’

এ বিভাগের আরো খবর