বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২১ ০৮:৪২

ইরাক সরকারের দুটি সূত্র জানিয়েছে, কাদিমির বাসভবনে কমপক্ষে একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। কাদিমি সুস্থ থাকলেও তার বাসভবনের বাইরে অবস্থানরত নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ছয়জন আহত হয়েছেন। গ্রিন জোনের বিভিন্ন দূতাবাসে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, এলাকাটিতে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমির বাগদাদের বাসভবনে বিস্ফোরকভর্তি একটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার ভোরের এ হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন কাদিমি।

ইরাকের সেনাবাহিনীর সূত্র উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কাদিমিকে হত্যার লক্ষ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি অক্ষত আছেন, হামলা ব্যর্থ হয়েছে।

তবে কাদিমির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী দলের কয়েকজন হামলায় আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা সূত্র।

ইরাকে গত মাসে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের ফলকে ঘিরে রাজধানী বাগদাদে সহিংস বিক্ষোভের পরই এ হামলা হলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।

অক্টোবরের ভোটের ফলের বিরোধিতা করা বিক্ষোভকারীরা ইরান সমর্থিত সশস্ত্র মিলিশিয়া। নির্বাচনে গোষ্ঠীটির পরাজয়ের পর থেকেই ভোট কারচুপি ও ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ করছে তারা।

রাজধানীর গ্রিন জোনে কাদিমির বাসভবনে হামলার দায় কোনো গোষ্ঠী এখনও স্বীকার করেনি। সুরক্ষিত কূটনৈতিক অঞ্চলটিতে সরকারের বিভিন্ন কার্যালয় ও বিদেশি দূতাবাস অবস্থিত।

ইরাকি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কাদিমির বাসভবন লক্ষ্য করেই হামলাটি চালানো হয় এবং তিনি সুস্থ আছেন। হামলার বিষয়ে আর কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, কাদিমি সুস্থ আছেন এবং জনগণের প্রতি শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইরাক সরকারের দুটি সূত্র জানিয়েছে, কাদিমির বাসভবনে কমপক্ষে একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। কাদিমি সুস্থ থাকলেও তার বাসভবনের বাইরে অবস্থানরত নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ছয়জন আহত হয়েছেন।

গ্রিন জোনের বিভিন্ন দূতাবাসে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, এলাকাটিতে বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে।

গত কয়েক বছর ধরে ইরাকের সরকার ও পার্লামেন্টে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর সমর্থকদের শক্তি বেড়েছে। ১০ অক্টোবরের নির্বাচনে কারচুপি ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগে তাদের বিক্ষোভ শুক্রবার সহিংস রূপ নেয়। সেদিন গ্রিন জোনের কাছে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। পাল্টা জবাবে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোড়ে পুলিশ, যাতে প্রাণ যায় কমপক্ষে এক বিক্ষোভকারীর।

স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনের ফল ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে জনতার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের প্রতিফলন। ২০১৯ সালের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়া প্রায় ৬০০ মানুষকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এ বিভাগের আরো খবর