বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সিগারেটের ধোঁয়ার চেয়েও ক্ষতিকর দিল্লির বাতাস’

  •    
  • ৬ নভেম্বর, ২০২১ ২১:৫৭

রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, দিল্লিবাসীর আয়ু উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এখন পর্যন্ত বিস্তারিত জানা না গেলেও দূষণ অবশ্যই আয়ু কমার একটি বড় কারণ। দিল্লিবাসীর ফুসফুস কালো হয়ে গেছে।’

দীপাবলিতে আতশবাজি আর কৃষি জমিতে ফসলের খড় পোড়ানোর ফলে আবারও শ্বাসরোধকারী ধোঁয়াশার কবলে পড়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এছাড়া ভবন ও সড়ক নির্মাণের ধুলা, যানবাহনের গ্যাস এবং আবর্জনা পোড়ানোয় বিষিয়ে উঠছে দিল্লির বাতাস। রাস্তায় বের হলেই জ্বলছে গলা ও চোখ।

দিল্লিতে দীপাবলি পরবর্তী সময়ে বাতাসের গুণগত মান গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। এবার আরও ভয়ের খবর শোনালেন স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান দিল্লি এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।

তিনি জানালেন, সিগারেটের ধোঁয়ার থেকেও বেশি ক্ষতিকর দিল্লির বাতাস। এই দূষণের কারণে কমছে রাজধানীবাসীর আয়ু।

রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, দিল্লিবাসীর আয়ু উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এখন পর্যন্ত বিস্তারিত জানা না গেলেও দূষণ অবশ্যই আয়ু কমার একটি বড় কারণ। দিল্লিবাসীর ফুসফুস কালো হয়ে গেছে।’

সম্প্রতি অনেকে দাবি করছেন, দিল্লির দূষণের ওপর বাজি ফাটানোর খুব বেশি প্রভাব পড়ে না।

এ প্রসঙ্গে দিল্লি এইমস প্রধানে বলেন, ‘ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে দূষণ খুব বেশি। দীপাবলিতে বাজি ফাটানোও এতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। উৎসবের সময় রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল অনেকটা বেড়ে যায়, যা দূষণের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয়।’

গুলেরিয়া বলেন, ‘দূষিত এলাকায় কোভিড আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে। রোগীদের ফুসফুসে ফোলা ফোলা ভাব বেড়ে যেতে পারে। করোনা বাতাসে মিশে থাকা দূষকগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে আরও সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে।’

শনিবার সকালে দিল্লির বাতাসের গুণমান আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভোর ৬টার দিকে বাতাসের গুণগত মানের হার ছিল ৫৩৩, এর ফলে ‘অতি ভয়ঙ্কর’ পর্যায়ে পৌঁছেছে দিল্লির বাতাস।

শহরের নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ ও গ্রেটার নয়ডায় বাতাসের গুণমান আরও খারাপ বলেই জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ও বায়ুর গুণমান পূর্বাভাস ও গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, রোববার বিকেল থেকে দিল্লির আকাশ কিছুটা হলেও পরিষ্কার হবে। তবে বাতাসের গুণমান খারাপ পর্যায়েই থাকবে। দীপাবলির রাতে বাজি ফাটানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল রাজধানীতে। তবে সেসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অনেকেই বাজি ফাটিয়েছেন। এর সঙ্গে ফসলের গোড়ার অংশ পোড়ানোর সমস্যা তো রয়েছেই।

দিল্লিবাসীদের অনেকেই দীপাবলির রাত থেকেই গলা ও চোখ জ্বালা অনুভব করেছেন বলে জানিয়েছেন। বিশেষ করে দিল্লি সংলগ্ন এলাকাগুলোতে পরিস্থিতি ছিল ভয়ংকর।

ইতোমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তারা যেন বাড়িতেই থাকেন।

রাজধানীর দূষণ কমাতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যে জোড়-বিজোড় পদ্ধতি এনেছিলেন, সেটি ফিরিয়ে আনার বিষয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরাও জানিয়েছেন, শীতের শুরু হয়ে যাওয়ায়, তাপমাত্রা কম থাকায় এবং বাতাসের চলাচল কম হওয়ায় বিষাক্ত কণা বাতাসের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছিই অবস্থান করছে। এ কারণেই কুয়াশার সঙ্গে দূষিত কণা মিশ্রিত হয়ে ঘন ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর