বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার ওষুধে যুক্তরাজ্যের অনুমোদন, বিশ্বে প্রথম

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২১ ১১:২৭

মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গ আছে এবং অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো গুরুতর অসুস্থ হওয়ার যেকোনো একটি কারণ উপস্থিত- এমন রোগীরা ওষুধটি সেবন করতে পারবেন। করোনার উপসর্গ দেখা দেয়া এবং পজিটিভ শনাক্তের পাঁচ দিনের মধ্যে ওষুধটি খাওয়া শুরু করতে হবে।

করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য উদ্ভাবিত কোনো ওষুধে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অনুমোদন পাওয়া কোভিড নাইনটিন অ্যান্টিভাইরাল বড়ি যৌথভাবে প্রস্তুত করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মার্ক অ্যান্ড কোম্পানি ও রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা আবিষ্কারের প্রায় বছর পার হলেও মিলছিল না আক্রান্তদের সারিয়ে তুলতে কার্যকর কোনো ওষুধ। এ অবস্থায় যুক্তরাজ্য অনুমোদিত ওষুধটি মহামারি মোকাবিলায় চলমান লড়াই আরও জোরদারে ‘গেম-চেঞ্জার’ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ করোনার চিকিৎসায় ‘মলনুপিরাভির’ ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছিল। মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গ আছে এবং অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো গুরুতর অসুস্থ হওয়ার যেকোনো একটি কারণ উপস্থিত- এমন রোগীরা ওষুধটি সেবন করতে পারবেন।

প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলের ওপর ভিত্তি করে বলা হয়, করোনার উপসর্গ দেখা দেয়া এবং পজিটিভ শনাক্তের পাঁচ দিনের মধ্যে ওষুধটি খাওয়া শুরু করতে হবে।

ওষুধটির নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার তথ্য পর্যালোচনায় আগামী ৩০ নভেম্বর বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শদাতারা। যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধটিতে অনুমোদন দেয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ভোটও হবে ওই বৈঠকে।

মলনুপিরাভির ওষুধটি যুক্তরাজ্যে ল্যাগেভ্রিও নামে বিক্রি হবে। করোনাভাইরাস দেহে প্রবেশের পর রোগ সৃষ্টিকারী জেনেটিক কোড চিহ্নিত করবে মলনুপিরাভির। দিনে দুইবার করে টানা পাঁচ দিন খেতে হবে ওষুধটি।

মার্ক অ্যান্ড কোম্পানি জানিয়েছে, প্রাণীদেহে পরীক্ষায় মলনুপিরাভিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু এখনও পরীক্ষার তথ্য উন্মুক্ত করেনি প্রতিষ্ঠানটি।

করোনা প্রতিকারের চেয়ে এখন পর্যন্ত মূলত প্রতিষেধকই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জিলিড করোনার চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল রেমডাসিভির ইঞ্জেকশন এবং স্টেরয়েড ডেক্সামেথাজোন বাজারে আনে। কিন্তু এসব ওষুধ কেবল হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর