কলকাতার উপকণ্ঠ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সুভাষ গ্রাম থেকে আব্দুল মান্নান নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ।
একটি ভাড়া বাসা থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে মান্নানকে গ্রেপ্তারের পর এনআইএ দাবি করেছে তিনি বাংলাদেশি জঙ্গি।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, সোনারপুর সুভাষ গ্রামে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকছিলেন আব্দুল মান্নান। তিনি মিথ্যা পরিচয়ে সেখানে থাকার পাশাপাশি সংগ্রহ করেছিলেন আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড; যা তল্লাশিকালে জব্দ করা হয়েছে। প্রায় দুই বছর কলকাতায় তার অবস্থানের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন (জেএমবি)-এর সদস্য মান্নান। গত জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের হরিদেবপুর থেকে রাজ্যের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) গ্রেপ্তার করেছিল ৪ জন জেএমবি জঙ্গিকে। হেফাজতে নিয়ে তাদের জেরা করলে আব্দুল মান্নানের তথ্য পায় এনআইএ।
গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল, গত এপ্রিল থেকে কয়েক দফায় মালদহ, মুর্শিদাবাদের সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১৫ জন জেএমবি ঢুকেছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই বিভিন্ন স্থানে চলছে অভিযান।
এনআইএ দাবি করেছে, জুনের শেষ দিকে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসেন জেএমবি নেতা নাজিউর রহমান পাভেল ওরফে মিকেল খান ওরফে যোশেফ ওরফে শেখ সাব্বির। হরিদেবপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কিছু বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেলেও তারা জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি।
জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার আব্দুল মান্নানকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে হাজির করে এনআইএ নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় তাকে। আব্দুল মান্নান কেন গা ঢাকা দিয়েছিলেন, তা জানতে চায় এনআইএ।