কানাডার অভিজাত শহর টরোন্টোতে বাড়ি কেনা কিংবা ভাড়া করার সামর্থ্য নেই? কেবল পোশাক-আশাকের বালাই না থাকার শর্তে পেয়ে যেতে পারেন সাড়ে তিন লাখ ডলারের বাড়ি। শুধু দেহে রাখা যাবে না এক টুকরো সুতাও।
ভাইস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, টরোন্টো থেকে গাড়ি চালিয়ে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে একটি রিসোর্ট দিচ্ছে এ সুবিধা।
এক হাজার ৩০০ বর্গফুটের বাড়িতে থাকবে তিনটি শয়নকক্ষ, একটি বাগান, একটি স্পা বাথরুম ইত্যাদি। পুরো বাড়ি মিলবে নামমাত্র মূল্যে। কিন্তু ভাড়াটেদের হতে হবে সত্যিকার অর্থে নগ্নতাবাদী।
পন্ডেরোজা নেচার রিসোর্টের সাধারণ ব্যবস্থাপক অ্যালিসন ওয়ালশ বলেন, ‘আমাদের রিসোর্ট একদমই সুলভ, শুধু যদি আপনি প্রকৃত নগ্নতাবাদী হন। সুবিধাটি পেতে অনেক মানুষ নগ্নতাবাদে বিশ্বাসের ভান করছে। তাই খুব সতর্কভাবে ভাড়াটে বাছাই করছি আমরা।’
পন্ডেরোজার ওয়েবসাইটে নগ্নতাবাদী নীতির বিষয়ে লেখা আছে, ‘পোশাক পরিহিত দর্শনার্থীদের কারণে আমাদের অতিথিরা বিব্রত হন।’
১ সেপ্টেম্বর থেকে রিসোর্টটির বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে ২৪ হাজার মানুষ। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ৩৫ বছরের কম। এদের মধ্যে হাতেগোণা কয়েকজন নগ্নতাবাদে বিশ্বাসী হলেও বেশিরভাগই সস্তায় আবাসন সুবিধা পাওয়ার লোভে নগ্নতাবাদী হওয়ার ভান করছেন।
কারা সত্যিকার অর্থে নগ্নতাবাদী, তা যাচাইয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। বাড়িভাড়া পাওয়ার আগে কমপক্ষে তিনবার সেখানে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন সুযোগসুবিধা নিতে হয়, অবশ্যই নগ্ন হয়ে। এ সময় তাদের আচার-আচরণ পর্যবেক্ষণ করে কর্তৃপক্ষ।
এরপর বাড়ি ভাড়া নেয়ার আবেদন করতে পারেন তারা।
২৪ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র এক শতাংশ নগ্নতাবাদী বলে জানিয়েছেন ওয়ালশ। বাকিরা সস্তায় বাড়ি পেতে নাটক করেছেন।
নগ্নতাবাদী প্রমাণ হলে সুইমিং পুল, টেনিস কোর্ট, রেস্তোরাঁ, বার, হাইস্পিড ইন্টারনেটসহ নানা সুবিধা, এমনকি ৯৮ একরের আস্ত জঙ্গলও পেয়ে যাবেন ভাড়াটেরা।
এ জন্য তাদের মাসে খরচ গুণতে হবে বাড়িপ্রতি মাত্র এক হাজার ডলার করে।