ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ভিরাট কোহলি ও বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা দম্পতির নয় মাস বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, অনলাইনে ধর্ষণের হুমকির ঘটনায় দিল্লি পুলিশকে নোটিশ দিয়েছে দিল্লির নারীবিষয়ক কমিশন ডিসিডব্লিউ।
এ ঘটনায় অভিযুক্তকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের পর এফআইআরের (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) অনুলিপিসহ তার বিস্তারিত পরিচয় দিল্লি পুলিশের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে ডিসিডব্লিউ।
ডিসিডব্লিউ চেয়ারপারসন স্বাতী মালিওয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লিখেছেন, ‘যেভাবে নয় মাস বয়সী একটি শিশুকে টুইটারে ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়েছে, তা লজ্জাজনক।
‘ভারতীয় ক্রিকেট দল আমাদের হাজারবার আনন্দ উদযাপনের উপলক্ষ এনে দিয়েছে। তাহলে পরাজয়ের প্রতিক্রিয়া কেন এমন মূর্খের মতো?’
পুলিশকে তদন্তের ফল প্রকাশের অনুরোধও জানিয়েছেন স্বাতী। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়ে না থাকে, তাহলে দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত জানান।’
৮ নভেম্বরের মধ্যে এসব তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করা হয়েছে পুলিশকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ভারত হেরে যাওয়ার পর ভিরাট কোহলির মেয়ের বিরুদ্ধ বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের ছড়াছড়ি শুরু হয়ে টুইটার-ফেসবুকে।এমনকি ভারতীয় ক্রিকেট দলের একমাত্র মুসলিম খেলোয়াড় মোহাম্মদ শামিকে নিয়ে বিদ্রুপের প্রতিবাদ কারায় কোহলি আক্রমণের শিকার হন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, মুসলিম হওয়ার কারণে শামি ইচ্ছে করে ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের বিপরীতে খারাপ খেলেছেন ও রান দিয়েছেন। শামিকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যাও দেয় অনেকে।
জবাবে কোহলি বলেন, ‘কারও ধর্মবিশ্বাসের জন্য তার ওপর হামলার অর্থ হলো মানুষ হিসেবে নিজেকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রমাণ করা। ধর্ম অত্যন্ত পবিত্র ও ব্যক্তিগত বিষয়। মানুষ এভাবে তাদের হতাশা ঢেলে দেয় কারণ তারা বোঝেই না যে আমরা কী করছি।’
দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশি দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই শীতল। ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই দেশের মানুষের মধ্যে উত্তাপও নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ভারতে ক্রিকেটপ্রেমীদের সহিংস আচরণ অনেকবারই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে।